Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট-যশোরে আওয়ামী লীগের ৩৭ বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সিলেটে আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকে দল থেকে বহি‹ার করা হয়েছে। এদিকে যশোরে আরো ৩১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও জৈন্তাপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ প্রার্থী দলের সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। গত সোমবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ৬ নেতাকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা মুজিবুর রহমান, জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নেছারুল হক, মোগলাবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ফখরুল ইসলাম ও শামিনুল হক, দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা নুরুল ইসলাম এবং জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুর রশিদ। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিদ্রোহী ৬ প্রার্থীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নির্বাচনে যারাই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন এবং প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যশোর ব্যুরো জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করায় যশোরে আরো ৩১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের মধ্যে মণিরামপুর উপজেলায় ১৭ জন ও বাঘারপাড়ায় ১৪ নেতা রয়েছেন। গতকাল যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধার সম্পাদক শাহীন চাকলাদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে দুই উপজেলার ৩১ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়। বহিস্কৃতরা মণিরামপুর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন।

মণিরামপুর উপজেলার বহিস্কৃতরা হলেন, রোহিতা ইউনিয়নে উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আবু আনছার সরদার, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আশরাফুল আলম মিন্টু, ভোজগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মোড়ল, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আয়ুব হোসেন। হরিদাসকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির লিটন, খেদাপাড়া ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হক, ঝাঁপা ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের সদস্য স ম আলাউদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম। চালুহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হামিদ সরদার, খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আতাউর রহমান লাভলু। কুলটিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আদিত্য মন্ডল ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য প্রভাষ ঘোষ, নেহালপুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আনিচুর রহমান ও সদস্য মনোয়ার হোসেন।

বাঘারপাড়ার জোহরপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মোল্লা বদর উদ্দীন ও উপজেলা সৈনিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, বন্দবিলা ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক জিয়াউর রহমান জয়, রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মনজুর রশিদ স্বপন ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশারেফ হোসেন। নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আবু তাহের আবুল সরদার, ধলগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আতিয়ার রহমান, দোহাকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণ অধিকারী, দরাজহাট ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়ুব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাসুয়াড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, জনগণের ভালোবাসায় দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে। যার ফলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে বিএনপি ভোটে না থাকার কারণে দলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিবৃত্ত করতে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তিনি আরো জানান, শুধু দলীয় মনোনয়ন না, দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে যেই অবস্থান নেবে তাকে বহিষ্কার করা হবে। ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা পাস করলেও তাদের দলে কখনো ফেরত নেয়া হবে না। একইসঙ্গে যারা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ