মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২৯ বছর পর আর পানি পাবেন না ভারতসহ বিশ্বের ৫০০ কোটির বেশি মানুষ। এমনটাই জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। জাতিসংঘের অধীনস্থ ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশন-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, উষ্ণায়নের জেরে দ্রুতহারে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য পৃথিবীর পানির স্তর উদ্বেগজনকভাবে নীচে নেমে যেতে শুরু করেছে। যা বিশেষভাবে নজরে এসেছে গত ২০ বছরে।
ভূপৃষ্ঠ, ভূপৃষ্ঠের ঠিক নীচের স্তর, বরফ ও তুষারে জমা পানির স্তর গত দু’দশকে যে হারে কমেছে তা আগে কখনও হয়নি। গত ২০ বছরে এই পানির স্তর প্রতি বছরে ১ সেন্টিমিটার করে নেমে যাচ্ছে। আর সেটা ২০১৮ সালেই বুঝতে পেরেছেন বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষ। বছরে এক মাস তারা কোনও পানিই পাননি।
পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিতে পারলে ২০৫০ সালে পৌঁছে ছিটেফোঁটা পানিও পাবেন না ভারতসহ বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ। চরম পানির অভাব দেখা দেবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম অংশ, ভূমধ্যসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায়। চরম জলাভাবে ভুগবে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়াও।
ডব্লিউএমও-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে বন্যাঘটিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা তার আগের দু’দশকের চেয়ে ১৩৪ শতাংশ বেড়েছে। খরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলি। রিপোর্টের শিরোনাম- ‘দ্য স্টেট অব ক্লাইমেট সার্ভিসেস ২০২১: ওয়াটার’।
২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৩০৬ কোটি মানুষ একমাসের পানি সংকটে ভুগেছেন। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাই পৌঁছে যাবে ৫০০ কোটিতে। পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, আগামী ২৯ বছরের মধ্যে এই
পানি সংকট এড়াতে চাইলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে প্রয়োজনমতো, আর লাগাতে হবে প্রচুর গাছ।
দিন দিন পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়েই চলেছে, এর ফলে প্রকৃতির আচরণে বদল আসছে। সময়মতো বৃষ্টি হচ্ছে না। কখনও বন্যা, কখনও খরায় ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। এতে চাষের কাজেও ক্ষতি হচ্ছে। সংকট দেখা দিচ্ছে খাদ্যের। গত ২০ বছরেও পানীয় পানি অনেকটা কমে এসেছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পৃথিবীর মাত্র ০.৫ শতাংশ পানি মানুষের ব্যবহারের যোগ্য।
ডব্লিউএমও-র প্রধান বলেছেন, ‘‘সব রাষ্ট্রনেতাই বলছেন এ বার একটা কিছু করতেই হবে যাতে উষ্ণায়ন আর না বাড়ে। কিন্তু সেই কাজগুলি আজ না করে কাল করব বলে ফেলে রাখলে হবে না। সেরে ফেলতে হবে অবিলম্বে। যে প্রক্রিয়াটাই এখনও অনেক দেশে শুরু হয়নি।’ সূত্র : এশিয়ানেট নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।