Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিজ বাড়ি থেকে ম্যালকম এক্সের মেয়ের লাশ উদ্ধার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ম্যালকম এক্সের এক মেয়েকে সোমবার তার ব্রুকলিনের বাড়ির ভিতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সময় বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিটে মিডউডের আবাসন থেকে ৫৬ বছর বয়সী মালেকা শাবাজের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে তার মেয়ে জানিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই মালেকার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের মেয়ে বার্নিস কিং টুইটারে একটি পোস্টে বলেছেন, ‘মালিকাহ শাবাজের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।’ তিনি বলেন, ‘আমি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ডক্টর ম্যালকম এক্স শাবাজ যখন আততায়ীর হাতে নিহত হন, তখন ডক্টর শাবাজ মালেকা এবং তার যমজ বোন মালাক তার স্ত্রী ডক্টর বেটি শাবাজের গর্ভে ছিলেন।’
মালেকা শাবাজ এবং তার যমজ বোন মালাক ম্যালকম এক্সের ছয় কন্যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট। তিনি এবং তার মেয়ে, বেত্তিহ শাবাজ, জানুয়ারী ২০১৭ সালে মেরিল্যান্ডে পশু নিষ্ঠুরতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। সে সময় বেশ কয়েকটি আহত কুকুরকে একটি চুরি করা ট্রাকের ভিতরে ‘অমানবিক অবস্থায়’ উদ্ধার করা হয়, যেটি তারা চালাচ্ছিলেন।
১৯৬৫ সালে নিউইয়র্ক সিটি বলরুমে পরিবারের সদস্যদের সামনে গুলিতে নিহত হন মার্কিন সিভিল রাইটস ম্যালকম এক্স। সেই হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া দুই ব্যক্তি অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। চলতি গত সপ্তাহে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জানান, মোহাম্মদ আজিজ ও খলিল ইসলাম নামের ওই দুই ব্যক্তি প্রাপ্য বিচার পাননি। আজিজ ও খলিল ছাড়াও থমাস হাগেন নামের এক ব্যক্তিকে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
প্রসিকিউটর সাইরাস ভান্স জুনিয়র নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, সম্ভবত তারা বেকসুর খালাস পাবেন এমন প্রমাণ গোপন করেছিল পুলিশ। এ তিনজনই রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আন্দোলন নেশন অব ইসলামের সদস্য। তারা পরবর্তীতে প্যারোলে মুক্তি পান। এর মাঝে খলিল ২০০৯ সালে মারা যান। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে আজিজ ও খলিলের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অ্যাটর্নি ভান্স। তার মতে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ওই ব্যক্তিরা তাদের প্রাপ্য বিচার পাননি।
ভুলভাবে শাস্তি পাওয়া ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাজ করে এমন অলাভজনক সংগঠন ইনোসেন্স প্রজেক্টের আবেদন বিবেচনা করে ২০২০ সালে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি পুরোনো রায়ের পর্যালোচনা করেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে ম্যালকম এক্সের মেয়ে তার বাবার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নতুন প্রমাণে আলোকে বিশ্লেষণের অনুরোধ করেন। ১৯৬৫ সালের ওই ঘটনার সময় দায়িত্বপালন করা এক পুলিশ মৃত্যুশয্যায় লেখা চিঠিতে জানিয়েছিলেন, নিউইয়র্ক পুলিশ ও এফবিআই-এর ষড়যন্ত্রের ফলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সূত্র : সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ