Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসামে ফের সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরুর পরিকল্পনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

আসামেও ফের নতুন করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কৃষি আইন ফিরিয়ে নিয়ে পিছ পা হয়েছে কেন্দ্র। বিগত প্রায় এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে। এই আবহে কৃষকদের জয়ের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অসমেও ফের নতুন করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ‘অল আসামে স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ এবং ‘কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি’ (পরবর্তীতে ‘রাজ্যর দল’ নামক রাজনৈতিক দল শুরু করে তারা), ‘আসাম জাতীয় পরিষদে’র মতো আসামের বেশ কয়েকটি সংগঠন এই নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনাও সেরে ফেলেছে বলে খবর’।
২০২০ সালের কৃষক আন্দোলন শুর হওয়ার আগেই দেশ কেঁপে উঠেছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে। ২০১৯ সালের শীতকালীন অধিবেশনে যখন সংসদে নাগরিকত্ব আইন পাস করানো হয়, তারপর দেশের বিভিন্ন অংশে আন্দোলন শুরু হয়। সবথেকে আগে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল অসমেই। আসামে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে প্রাণ হারিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তবে পরবর্তীতে সেই আন্দোলন বন্ধ হয়। এবার কৃষকদের জয়ের পর সিএএ বিরোধী সেই আন্দোলনকে ফের কীভাবে চাঙ্গা করা যায়, সেই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বলে খবর।
এর প্রেক্ষিতে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা সমুজ্জল ভট্টাচার্য টুইট করে লেখেন, ‘কৃষক সম্প্রদায়ের আন্দোলনের দাবির কাছে মাথা নত করে কৃষক বিরোধী কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। এতে সরকারের অন্যায় ও ভুল বিচার প্রমাণিত হয়। এখন সময় এসেছে সিএএ বাতিল করার। আসাম এবং উত্তর-পূর্বের আদিবাসীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে এই সিএএ। তাই শিগগিরই সিএএ প্রত্যাহার করতে হবে’।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার ঘোষণার পরে রাজ্যের দলের সভাপতি অখিল গগৈও দাবি করেন যে আসামে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজন রয়েছে। এই বিষয়ে তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গেও কথা বলেন। প্রসঙ্গত সিএএ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে জেলে যেতে হয়েছিল অখিল গগৈকে। জেলে থেকেই তিনি নির্বাচনে সড়েন এবং বিধায়ক নির্বাচিত হন। তবে যেই সিএএ বিরোধিতা করে অখিল বিধায়ক হন, সেই আন্দোলনের অস্তিত্ব এখন আর নেই। ২০১৯ সালে যখন আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখন তার তীব্রতা ছিল। বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু করোনা অতিমারীর জেরে আন্দোলনে ভাটা পড়ে যায়। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ