বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অগ্রহায়ণের শুরুতেই সীমান্তবর্তী শেরপুরের গারো পাহাড়ি অঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। বইছে মৃদু হিমেল হাওয়া। কমতে শুরু করেছে রাত দিনের তাপমাত্রা। কুয়াশার চাদর ঢেকে নিচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চলের ভোর-সন্ধ্যার প্রকৃতি। শিশির ভেজা ঘাস, শেষ রাতের ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার আবেশ জানান দিচ্ছে প্রচন্ড শীতের আগমনী বার্তা। দিনে যেমন তেমন রাতে কম্বল-কাঁথা বা লেপ গায়ে না দিলে চলছে না। গ্রামাঞ্চলে শীতের কাপড় নিয়ে বিকেলে বেরুচ্ছে পাহাড়ি লোকজন। দেখা যাচ্ছে আলমিরায় বন্দি গরম কাপড় বের করে অনেকেই রাখছেন আলনায়। ক’দিন আগের বৃষ্টির পর থেকেই আস্তে আস্তে শীতের আমেজ বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় দিন আকাশ থাকছে হালকা মেঘাচ্ছন্ন।
পাহাড়ি অঞ্চলের প্রবিণ ব্যক্তিত্ব শতবর্ষী ডা. আব্দুল বারী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, আলহাজ, শরীফ উদ্দিন সরকার, আলহাজ, রেজাউর রহমান মাস্টার ও সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল প্রমূখ প্রবিণ ব্যক্তিগণ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ বছর গারো পাহাড়ে শীতের তীব্রতা বাড়বে। পাহাড়ি অঞ্চল এমনিতেই ঠান্ডা বায়ুর এলাকা। যা কিনা পরিবেশ ঠান্ডা রাখে। জলবায়ুর প্রভাবে এ বছর পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়বে বলে আশংকা করছেন তারা। শীতের আগমনী বার্তায় মৌসুমের অপেক্ষায় থাকা লেপ তৈরির কারিগর-ধনুকওয়ালরা ও এখন অনেক ব্যাস্ত। যেন ফুসরত নেই। তুলা ফ্রেস করার কাজ করছে দ্রুত। কেউ কেউ নতুন লেপ বানিয়ে নিচ্ছেন। কেউবা পূরনো লেপের তুলার সাথে কিছু নতুন তুলা ভরে লেপ উষ্ণ করে নিচ্ছেন।
অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতেই পাহাড়ি অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। মানুষজন শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এখন প্রতিদিন শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু, গরিব মানুষরা যেখানে পুরনো শীতবস্ত্র কিনবে, সেখানে ধনী, মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোকজনের বেশ ভিড়। আর এসব ক্রেতার কারণে দোকানদাররা শীতবস্ত্রের আকাশচুম্বী দাম হাঁকছেন। যা গরিব মানুষদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ঝিনাইগাতী মধ্য বাজারের ’তাহমিনা ফ্যাশন হাউজের’ মালিক আশ্রাফুল আলম বলেন, নতুন শীতবস্ত্র টুকটাক বিক্রি শুরু হলেও পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে বেচাকেনা বেশী হচ্ছে। সব শ্রেনীর মানুষ ছুটছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে। দীর্ঘ প্রায় দু’বছর করোনার কারণে সব শ্রেনীপেশার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়ায় ধনী-গরিব সবাই পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভীড় করছে। নতুন কাপড় বিকিকিনি কমই হচ্ছে।
গাঁন্দিগাঁও থেকে আসা মিজান, রাংটিয়া থেকে আসা আহাম্মদ আলী, নওকুচি থেকে আসা শ্রী ধীরেন্দ্র কোঁচসহ, দরিদ্র লোকজন জানান, 'আমরা শীতবস্ত্র কিনব কীভাবে? গরীবের পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে এখন মধ্যবিত্ত আর বড় লোকদেরই ভিড়। তাই দোকানদাররা বেশি দাম হাঁকছে। আমরা শীতবস্ত্র কিনতে পারছি না।'
প্রবিণ ব্যক্তিগণ ধারণা করছেন, ক’দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা আরও বোড়ে যাবে। এতে করে গরিব অসহায় বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের শীতে কষ্ট হবে বেশী। তাই, অসহায় ছিন্নমূল ও দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের শীতের কবল থেকে বাঁচাতে সরকারিভাবে ও বিভিন্ন সংগঠনের আগাম ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এদিকে সামর্থ্যবান লোকজনরা শীতের শুরুতেই লেপ বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ কারণে ধুনকরেরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।