পেশাগত কাজে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি যারা শখের বশে গান করেন, স্কয়ার গ্রুপে কর্মরত প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীদের বড় মঞ্চে গান করার সুযোগ করে দিচ্ছে রিয়েলিটি শো ‘স্কয়ার সুরের সেরা’। বর্তমানে হবিগঞ্জে এই রিয়েলিটি শো’র অডিশন চলছে। এর আগে গত ১২ নভেম্বর পাবনা থেকে অডিশন পর্ব শুরু হয়েছিল। প্রায় তিনশ’ প্রতিযোগীর মধ্য থেকে বিচারকদের রায়ে নির্বাচিত আটজন পেয়েছেন ঢাকায় স্টুডিও রাউন্ডে অংশগ্রহণ করার স্কয়ার কার্ড। হবিগঞ্জেও বিচারকদের রায়ে প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্বাচিতরা পরবর্তী রাউন্ডে নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন। অডিশন রাউন্ডের বিচারক হিসেবে হবিগঞ্জে অডিশন পর্বের বিচারক হিসেবে রয়েছেন লেখিকা অণিমা মুক্তি গোমেজ, সঙ্গীতশিল্পী-সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজন আরিফ এবং সঙ্গীতশিল্পী-সুরকার পুলক অধিকারী। শিল্পী অণিমা মুক্তি গোমেজ বলেন, আমরা শিল্পীরা এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি ভীষণ আশাবাদী স্কয়ার সুরের সেরা থেকে এমন কিছু সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হবে, যাদের বিকাশের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। শিল্পী পুলক অধিকারী বলেন, এরকম একটি শিল্প পরিবারের মধ্য থেকে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা বিশ্বে বিরল। শিল্পী সুজন আরিফ বিশ্বাস করেন, এ প্রতিযোগিতার পর স্কয়ার গ্রুপ-এর প্রত্যেক কর্মী তার কাজের জায়গায় ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হবে। এই গ্রুপের অন্যতম পরিচালক এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে বন্ধন যাতে আরো দৃঢ় হয়, সে লক্ষ্যেই আয়োজন করা হয়েছে স্কয়ার সুরের সেরা। কত সুপ্ত প্রতিভা যে আমাদের ভেতর লুকিয়ে আছে, তা নিজেদের যেমন জানা দরকার, সেই সাথে দেশের মানচিত্র ছাপিয়ে দেশের বাইরেও জানানো দরকার। খুব শিগগীরই মাছরাঙা টেলিভিশনে স্কয়ার সুরের সেরা প্রচার হবে। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন অজয় পোদ্দার। তিনি জানান, স্কয়ার গ্রুপের পরিচয়পত্র বহনকারী যে কোনো সদস্য এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। পাবনা, হবিগঞ্জের পর কালিয়াকৈর, ভালুকা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে অডিশন পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এরপর স্টুডিও রাউন্ডে বিভিন্ন ধাপে প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী নির্বাচিত হবে। স্টুডিও রাউন্ডে বিচারক হিসেবে থাকবেন দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী রুমানা ইসলাম, আই টুটুল এবং পিন্টু ঘোষ। তাদের রায়ে নির্বাচিত সেরা বিজয়ী পাবেন নগদ ৫ লাখ টাকা। এছাড়া প্রথম রানার আপ ৩ লাখ, দ্বিতীয় রানার আপ ১ লাখ এবং চতুর্থ ও পঞ্চম যারা হবেন, তারা প্রত্যেকে পাবেন ৫০ হাজার টাকা।