বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল (৪৫) দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল পাথুরীয়াপাড়া এলাকার সৈয়দ শাহজাহানের ছেলে। তিনি ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন এবং কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহারের কর্মী।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলরের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় হরিপদ সাহা নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কাউন্সিলর সোহেলের সহযোগী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হরিপদ সাহা (৫৫) ওই ওয়ার্ডের নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্র জনায়, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদেরকে নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। এমতাবস্থায় পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী শাহ আলম এবং সুমনের নেতৃত্বে ৪টি মোটরসাইকেলযোগে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।
এতে কাউন্সিলরের পেটে, বুকে এবং মাথায় তিনটি এবং হরিপদ সাহার পেটে এবং বুকে দুটি গুলিবিদ্ধ হয়। এলোপাথাড়ি গুলিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল চৌধুরী (৩৮), সদস্য মো. বাদল (২৮), কাউন্সিলরের সহযোগী রিজু (২৩), জুয়েল (৪০) ও রাসেল (৩২) আহত হয়।
এ সময় আশপাশের লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল এবং হরিপদ সাহা মারা যান। বাকী চারজন কুমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া জানান, সন্ত্রাসী শাহ আলমের মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের বিরোধিতা করে আসছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। এ নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী শাহ আলম ও সুমনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলরের বেশ কয়েকজন সমর্থকের বাড়ি-ঘরও ভাংচুর করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, এ হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।