Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাটকীয়তার ভরপুর ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৪২ পিএম | আপডেট : ৫:৪৫ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০২১
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে  শেষ ওভারে  নাটকীয় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এর ফলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাবর আজমের দল
 
ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে পাকিস্তান ৫ উইকেট হারিয়ে করে ১২৭ রান। 
 
বাংলাদেশের বিপক্ষে এ রান তাড়া  করতে ১৫ ওভার ১ বল খেলে ৮৩ রান করে দুই উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। এ সময় ৪০ রান করে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ৩২ রানে সময় বাবর আজম বিদায় নেয়ার পর হায়দার আলীকে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন তিনি। অবশেষে অভিষিক্ত শহিদুল তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান।  তিনি হায়দারকে নিয়ে জয়ের খুব কাছে চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ দুই ওভারে ম্যাচ আবার ঘুরিয়ে দেন শহিদুল।  আর শেষ ওভার করতে আসা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সরফরাজ আহমেদ, হায়দার আলী ও ও ইফতেখারকে আউট করে পাকিস্তানের কাছ থেকে জয় প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের কপালটা খারাপই বলতে হয়। জয়ের এতো কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত টানা আটটি ম্যাচে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।  
 
এদিকে এর আগে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ২৮ রান করে পাকিস্তান। তবে ম্যাচের সপ্তম ওভারেই বল করতে এসে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে ক্যাচ আউটের শিকার বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়েছেন স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। বাবর দলীয় ৩২ রানের সময় ১৯ রান করে আউট হয়েছেন।
 
সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে যথাক্রমে ৭ ও ১ রানে ফিরেছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজ। তবে আজ তিনি প্রথমবারের মতো ১০ বা তার বেশি রান করতে সমর্থ হয়েছেন। কিন্তু তবুও তাাে শেষ পর্যন্ত বেশি দূর আগাতে দিল না টাইগাররা।
 
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ওপেনার নাঈম শেখ। অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেছেন শামীম হোসেন পাটওয়ারী। তিনি এবারের সিরিজে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পান। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন উসমান কাদির ও ওয়াসিম জুনিয়র। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ১০৮ রান করে। প্রথম ম্যাচে করেছিল ১২৭ রান। 
 
আজকের ম্যাচটিতে হয়ত বাংলাদেশ আরো বেশি রান পেতে পারত। কিন্তু ১৯তম ওভারে ওয়াসিম জুনিয়রের বলে নাঈম শেখ ও নুরুল হাসান সোহান ফিরে যান। ফলে রান তোলার গতি কমে যায়। এরপর শেষ ওভারে হারিস রউফের প্রথম বলে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হন। 
 
 ম্যাচটিতে প্রথম ১০ ওভারে ২  উইকেট হারিয়ে ৫২ রান করে টাইগাররা। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হাল আজ ধরেন ওপেনার নাইম শেখ ও আফিফ হোসেন। তাদের দুজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১৫ ওভার শেষে ৮৯ রান করতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের শেষ দশ ওভারে বলতে গেলে রানই তুলতে পারেনি বাংলাদেশ তবে আজ আফিফ ও নাঈম মিলে রানের চাকাটা সচল রাখেন। তবে ১৫তম ওভারের সময় ওসমান কাদিরের বলে ২০ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে যান। তখন দলের রান ৮০। 
 
এরআগে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে শাহনেওয়াজ দাহানীর প্রথম বলে চার মারেন নাজমুল হাসান শান্ত। দাহানীর এ ম্যাচের মাধ্যমে অভিষেক হয়েছে। তবে এই ওভারের তৃতীয় বলে শান্তকে বোল্ড আউট করে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটটি তুলে নেন। শান্ত মাত্র ৫ রান করেই ফিরে যান। এরপর মাঠে নামেন শামীম পাটোয়ারী। তিনি ওপেনার নাঈমকে নিয়ে পাওয়ার প্লে টা বেশ ভালোভাবেই পার করেন। ফলে শুরুর দিকেই উইকেটের পতন ঘটলেও টাইগারদের খুব বেশি সমস্যা হয়নি।  কিন্ত সপ্তম ওভারে গিয়ে স্পিনার ওসমান কাদিরকে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন শামীম। তিনি আউট হওয়ার আগে করেন ২২ রান।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ