তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীঢ ও শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ওপেনার নাঈম শেখ। অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেছেন শামীম হোসেন পাটওয়ারী। তিনি এবারের সিরিজে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পান। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন উসমান কাদির ও ওয়াসিম জুনিয়র। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ১০৮ রান করে। প্রথম ম্যাচে করেছিল ১২৭ রান।
আজকের ম্যাচটিতে হয়ত বাংলাদেশ আরো বেশি রান পেতে পারত। কিন্তু ১৯তম ওভারে ওয়াসিম জুনিয়রের বলে নাঈম শেখ ও নুরুল হাসান সোহান ফিরে যান। ফলে রান তোলার গতি কমে যায়। এরপর শেষ ওভারে হারিস রউফের প্রথম বলে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হন। এরপর শেষ বলে আমিনুল ইসলাম রান আউট হন।
এদিকে এর আগে ম্যাচটিতে প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান করে টাইগাররা। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হাল আজ ধরেন ওপেনার নাইম শেখ ও আফিফ হোসেন। তাদের দুজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১৫ ওভার শেষে ৮৯ রান করতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের শেষ দশ ওভারে বলতে গেলে রানই তুলতে পারেনি বাংলাদেশ তবে আজ আফিফ ও নাঈম মিলে রানের চাকাটা সচল রাখেন। তবে ১৫তম ওভারের সময় ওসমান কাদিরের বলে ২০ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে যান। তখন দলের রান ৮০।
এদিকে এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে শাহনেওয়াজ দাহানীর প্রথম বলে চার মারেন নাজমুল হাসান শান্ত। দাহানীর এ ম্যাচের মাধ্যমে অভিষেক হয়েছে। তবে এই ওভারের তৃতীয় বলে শান্তকে বোল্ড আউট করে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটটি তুলে নেন। শান্ত মাত্র ৫ রান করেই ফিরে যান। এরপর মাঠে নামেন শামীম পাটোয়ারী। তিনি ওপেনার নাঈমকে নিয়ে পাওয়ার প্লে টা বেশ ভালোভাবেই পার করেন। ফলে শুরুর দিকেই উইকেটের পতন ঘটলেও টাইগারদের খুব বেশি সমস্যা হয়নি। কিন্ত সপ্তম ওভারে গিয়ে স্পিনার ওসমান কাদিরকে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন শামীম। তিনি আউট হওয়ার আগে করেন ২২ রান।