বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হালকা বাতাসে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ধানের শীষ দোলা খাচ্ছে। অনেক ক্ষেতের ধানের শীষ ইতোমধ্যে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। বাকিগুলো ধীরে ধীরে সোনালী হয়ে উঠছে। গন্ধে ভরে উঠেছে সমুদ্র উপকূলীয় কলাপাড়ার গ্রামীণ জনপদ। আর কদিন পরেই শুরু হবে ধান কাটা, মাড়াই নতুন ধান ঘরে তোলার মহোৎসব। তাই প্রতিটি কৃষক পরিবারের কৃষকদের চোখে মুখে লেগে আছে সোনালী স্বপ্ন পূরণের ছাপ। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠজুড়ে সোনালী কাঁচা-পাকা ধানের ফসলি ক্ষেত যেন দিগন্ত ছুঁয়ে গেছে। কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হবে ধান তোলার পালা। তাই ধান কাটার জন্য নতুন কাস্তে তৈরি করতে দিয়েছে অনেকে। কেউ আবার পুরাতন কাস্তে মেরামত করাচ্ছে কামারবাড়িতে। কেউ কেউ নতুন ধান উঠানে রাখার জন্য বাড়ির আঙ্গিনা সুন্দরভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করছেন। এ জনপদে কৃষকের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। তবে ফরিয়া বা মধ্যস্বত্বভোগীদের আনাগোনা আর তৎপরতায় ফসলের কাঙ্খিত মূল্য পাওয়া নিয়ে কৃষকদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়ায় দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর আয়তন ৪৯২.১২২ বর্গ কিলোমিটার। ৩৫৫০০ জন কৃষক পরিবার রয়েছে। এ বছর ৩৩৭২৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছে কৃষকরা। এর মধ্যে ২৫০১০ হেক্টর জমিতে উফশি ও ৮৭১৮ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ক্ষেতের ধান পাকতে শুরু করেছে। করোনার কারণে ধান কাটার জন্য দৈনিক ৬ থেকে ৭শ’ টাকা মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এখন আবহাওয়া ও বাজারে ধানের দাম ভালো থাকেলেই পুষিয়ে যাবে এমনটাই বলেছেন কৃষকরা।
চাম্পাপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. মোহসিন বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে এ বছর চাষাবাদে কিছুটা বিঘ্ন হয়েছে। তিনি প্রায় তিন হেক্টর জমি জমিতে আমন ধান চাষ করেছে। এতে তিনশ’ মণ ধান পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মো. হাবিব মুন্সি বলেন, সে প্রায় দুইশ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছে। এখন ক্ষেতের ধান পাকা শুরু করেছে। ক্ষেতে খুব একট ভালো ফসল হয়নি। তারপরও দুইশ’ মণ ধান পাবেন। তবে ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় দুঃচিন্তায় রয়েছে এই কৃষক। অপর এক কৃষক শহজাহান মিয়া বলেন, সার-ওষুধ প্রয়োগ ও ক্ষেতের নিয়মিত পরিচর্যা করে এ পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে। শ্রমিক পাওয়া গেলে দুই-চার দিনের মধ্যেই ক্ষেতের ধান কাটবেন বলে তিনি জানান।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে এ উপজেলায় কৃষকদের মাঝে ১০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এটি দিয়ে খুব অল্প সময়ে একই সাথে ধান কাটতে ও মাড়াই করা করতে পারবে কৃষকরা। এছাড়া উচ্চফলনশীন জাতের ধানের বীজ দেয় হয়েছে। আর মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রেখেছে উপ-সহকারী কর্মকর্তারা। এর ফলে আমন ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা কাক্সিক্ষত ফসল সুন্দরভাবে কাটতে পারবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।