গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসে হাফ ভাড়া দেয়ার ইস্যুতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রী। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানান ওই শিক্ষার্থী।
তিনি লিখেন, আমি কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শনিরআখড়া থেকে ঠিকানা পরিবহনের বাসে উঠি। এখান থেকে কলেজের ভাড়া ১০টাকা। কিন্তু আজকে আমার থেকে ১৫ টাকা ভাড়া রাখা হয়। আমি নিজেকে শিক্ষার্থী দাবি করে ১০ টাকা ফেরত চাইলে হেলপার আমার সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলে এবং নামার সময়ে আমাকে ৫ টাকা দিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দেয়। যা প্রকাশযোগ্য নয়। বাসটি চলন্ত অবস্থায় থাকায় বাসটির নম্বর মনে রাখতে পারি নি।
তিনি আরও লিখেন, প্রতিদিন আমাদের এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় এবং বাসগুলো আমাদের তুলতে চায় না। প্রতিদিন এখান থেকে অনেক মেয়ে যায়।
বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরার পর এর প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বকশি বাজার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। এরপর ধর্ষণের হুমকি দেয়া বাস চালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার ও হাফ পাস (অর্ধেক) ভাড়া নির্ধারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে দুপুর ১২টার পর সড়ক অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তোলপাড়। শিক্ষার্থীদের এই দাবির সাথে ঐক্যমত পোষণ করছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি তারা পরিবহন শ্রমিকদের উদ্ধতপূর্ণ আচরণের তীব্র সমালোচনা করে দোষীদের দৃষ্ঠান্তমুল শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নীরা হক ফেইসবুকে লিখেন, ‘হেলপারটা কি আদৌ মানুষ! কথা কাটাকাটি হতেই পারে। তাই বলে একজন ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি! বাস মালিক, চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা উচিত। অনতিবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের আচারণের সাহস না পায়।’
শিব প্রসাদ সূত্রধর লিখেছেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না...... যে হারে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষার্থীদের জীবন কঠিন হয়ে গেছে।’
রফিকুল ইসলামের দাবি, ‘সকল গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস বাস্তবায়ন চাই।’
মনির উজ জামান মনে করেন, ‘প্রতিটি বিবেকবান মানুষেরা উচিৎ এদের সাথে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা।’
মাইনুল হাওলাদার লিখেছেন, ‘নেতারা আজ নিশ্চুপ, অন্য দেশে এরকমটা হলে, এতক্ষণে বাস ভাড়া তো কম হতো আর এরকম কেউ বললে তারে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতো। কিন্তু আমরা দুর্ভাগা! আমাদের দেখার কেউ নেই! বড়ো বড়ো কথার বলার সময় সবাই হাজির বাংলাদেশে।’
ঘটনাটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শামিম আহমেদ আফরান।
উদ্বেগ প্রকাশ করে মেহেদী হাসান লিখেছেন, ‘একটা দেশে একজন বাস কন্ডাক্টার কতটা পাওয়ারফুল হইলে ধর্ষণের হুমকি দিতে পারে চিন্তা করে দেখেন। আর আইনের কথা না হয় না ই বললাম।’
গাড়িতে থাকা অন্য যাত্রীদের সমালোচনা করে শাখাওয়াত সেলিম লিখেছেন, ‘গাড়িতে কি আর কোন পুরুষ মানুষ ছিল না? যাদের সময়ে কিংবা অসময়ে চেতনা জাগ্রত হয়, কিন্তু মেরুদন্ড জাগ্রত হয় না। তেমনি গাড়িতে কি কোন মহিলা মানুষও ছিলো না, যারা সবসময় চেতনাবাজি করে বেড়ায়, কিন্তু কাজের সময় সুইচ অফ থাকে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।