পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ১৯৭১ এ নিজের ও পরিবারের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার ৫০ বছরেও স্বীকৃতি বঞ্চিত থেকে মানবেতর জীবন যাপন করার সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এমন সংবাদ দেশবাসীর জন্য লজ্জার। ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিপূর্ণ স্বচ্ছ একটি তালিকা দেশবাসীকে উপহার দিতে না পারা ক্ষমতাসীন সরকারের ব্যর্থতা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতভিন্নতাসহ অন্য যে কোন কারণে যে সকল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বঞ্চিত রয়েছেন আগামী ডিসেম্বর এর মধ্যে তাদেরকে স্বীকৃতি দিতে হবে। প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন,দেশের মানুষ যে আশা নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলো সে আশা আজও পূরণ হয়নি। দুর্নীতি, লুটপাট, বৈষম্য, জুলুম-নির্যাতন চলছে। ভোটের অধিকার থেকে মানুষ বঞ্চিত। এ পরিস্থিতিতে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। আজ শনিবার সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে দলের বিভিন্ন জেলার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সাথে মতবিনিময় সভায় মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদের সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুল ওয়াদুদ, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির, নাটোরের বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, হবিগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, খুলনার বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, চট্টগ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মো. আলী, বরিশালের আলহাজ আবদুস সালাম, ফরিদপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ মাষ্টার, সিলেটের মহিউদ্দীন আল মামুন, সুনামগঞ্জের নিজাম উদ্দীন ও মুফতি আবদুল্লাহ আল মামুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।