বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তারা জয় পেয়েছিল ৪ উইকেটে। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাবর আজমের দল।
এই সিরিজের আগে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল। অবশেষে ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের দৌড় থামল মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর।
ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে পাকিস্তান ২ উইকেট হারিয়ে ও ১১ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছে যায়।
ম্যাচটিতে মাত্র ১২ রানের সময় ১ রান করে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড আউট হন বাবর আজম। কিন্তু বাকি কাজটি খুব সহজেই করে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ফখর। তবে তিনি মাত্র ২৬ রানেই আউট হয়ে যেতেন যদি না তার উঠানো ক্যাচটি সাইফ হাসান হাতছাড়া না করতেন। ম্যাচের ১২তম ওভারে লেগি আমিনুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলছিলেন তিনি। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে আমিনুলের বলেই ক্যাচ আউট হন রিজওয়ান।
অন্যদিকে ম্যাচটিতে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হাসান শান্ত। দলে হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেছেন আফিফ হোসেন। অপরদিকে পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি ও শাদাব খান।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ১২৭ রান করে। প্রথম ম্যাচের চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের অবস্থা ভালো ছিল, কিন্তু তবুও দ্বিতীয় ম্যাচটিতেই হলো কম রান।
এর আগে ম্যাচটিতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই চাপে পরে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট হারায় তারা। তবে এরপর ঘুরে দাড়ানোর চেস্টা করেন শান্ত ও আফিফ। তাদের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে ৬৬ রান তুলে টাইগাররা। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। কিন্তু এরপর হঠাৎ করে আবার ছন্দপতন হয় টাইগারদের। নিজেদের পরের তিনটি উইকেট তারা হারিয়ে ফেলে দলীয় ৮৮ রানের মধ্যে। ১০-১৫ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশ মাত্র ১৯ রান করে। হারিয়ে ফেলে তিনটি উইকেট। আর এ কারণে টাইগাররা বড় সংগ্রহের দিকে এগুলেও তা হঠাৎ করেই থমকে যায়। এই সময়ের মধ্যে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ১২, মাহাদী ৩ ও ওপেনার শান্ত ৪০ রান করে ফেরেন।
ম্যাচটিতে প্রথম দুই ওভারে ওপেনার সাইফ হাসান (০) ও নাঈম শেখের (২) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আফিফ ২০ রান করে আউট হলেও কোন চাপ ছিল না। কিন্তু এরপর পাকিস্তানের বোলাররা আবার নতুন করে যেন খুঁজে পায়। আর তাতেই বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা তৈরি করেও পারেনি বাংলাদেশ। ফলে পাকিস্তান খুব সহজেই জিতে নেয় ম্যাচটি।