Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাদাব-নওয়াজের শেষ দিকের ঝড়ে জিতল পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৫১ পিএম
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে পাকিস্তান ৬ উইকেট হারিয়ে ও ৪ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয়। ম্যাচের প্রথম ও শেষ দিকে পাকিস্তানকে চেপে ধরে টাইগাররা। কিন্তু শেষ দিকে শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ ১৫ বলে ৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জিতিয়ে দেন। শাদাব ২১ ও নওয়াজ ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। 
 
এর আগে বাংলাদেশের দেয়া ১২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৪ রান তুলে চারটি উইকেট হারায় পাকিস্তান ।  কিন্তু এরপর দলের হাল ধরেন ফখর জামান। তিনি দলকে প্রায় জয়ের কাছেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে অবশেষে দলীয় ৮০ রানের সময় ৩৪ রান করে তাসকিনের বলে ক্যাচ আউট হন ফখর। তার ক্যাচটি ধরেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে ধরে রাখেন খুশদিল শাহ। তবে  ফখরের সঙ্গে সেট হওয়া খুশদিল শাহকে ১৭তম ওভারে সেই সোহানের হাতেই ক্যাচ বানিয়ে সাজ ঘরে পাঠান শরীফুল ইসলাম। খুশদিলও ৩৪ রানে ফেরেন।  তখন দলের রান ৯৬। তবে পরের ওভারেই মোস্তাফিজ ১৫ রান দেন। ফলে ম্যাচটি আবার বাংলাদেশের হাত থেকে ফসকে যায়। শরীফুল ১৯তম ওভার করতে এসে দেন ১৫ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। ম্যাচে প্রথমবারের মতো ব্যাট করতে আসা আমিনুল ইসলামের বলে ছয় মেরে দলকে জেতান শাদাব খান। 
 
পাকিস্তান দলীয় ১৬ রানে ওপেনার রিজওয়ানের উইকেট হারিয়েছে। আর রিজওয়ানকে মাত্র ১১ রানে বোল্ড করে দেন। এরপর ২২ রানের সময় হারিয়েছে অধিনায়ক বাবর আজমের উইকেট। বাবর মাত্র ৭ রান করে  তাসকিনের বলে বোল্ড আউট হন দলীয় ৪ ওভারের সময়। ফলে কম রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমেও ভালো চাপে পরে যায় পাকিস্তান। এরপর ম্যাচের পঞ্চম ওভারে মাহাদীর বলে হায়দার আলী কোন রান না করেই ফেরেন। ফলে পাকিস্তানের চাপ আরো বাড়ে। এরপর ষষ্ঠতম ওভারে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক উইকেটরক্ষক সোহানের দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হন। তিনিও কোন রান করতে পারেননি।
 
এর আগে ম্যাচটিতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পরে টাইগাররা। ওপেনার ও শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় চরম চাপে পরে তারা। কিন্তু মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তাঢ চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সমর্থ হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। 
 
বাংলাদেশ শুরুতে চাপে পরে গেলে দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন, মাহাদী হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। আফিফ ৩৬, সোহান ২৮ রান করে আউট হন। অপরদিকে মাহাদী ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। 
 
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথম ১১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে  ৫৫ রান করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম থেকেই ধুকছিল টাইগাররা। প্রথম দশ ওভারে চাপ সামাল দিতে পারেননি তারা। কিন্তু এগারোতম ওভারে আফিফ দুই বলে দুটি ছক্কা হাকান। এতে অনেকটাই চাপমুক্ত হয় টাইগাররা। 
 ম্যাচের প্রথম পাঁচ ওভারে কোন বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বোলাররা এতটাই প্রভাব দেখাচ্ছিল। বাংলাদেশ তাদের প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় ষষ্ঠ ওভারে। আফিফ হোসেন চার মারেন হারিস রউফের বলে।  কিন্তু দশ ওভার পার হওয়ার পর নিজেদের খুজে পায় টাইগাররা।
 
এবারে বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের । এ কারণে দলে আনা হয় ব্যপক পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের জোয়ারে অভিষেক হলো ওপেনার সাইফ হাসানের। কারণ বিশ্বকাপে ওপেনিংয়েই সবচেয়ে বেশি ভুগেছে বাংলাদেশ।  তবে অভিষেকটা একদম বিবর্ণ হলো সাইফের। সঙ্গে ওপেনিংটা ভালো হলো না টাইগারদের। 
অভিষিক্ত সাইফ হাসানের সঙ্গে শুরুতে ব্যাট করতে নামা নাঈম শেখ আউট হয়ে গেছেন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলীর বলে ক্যাচ আউট হয়ে। তিনি মাত্র ১ রান করে আউট হয়েছেন। দুই ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭ রান করে। অপরদিকে তৃতীয় ওভারে ওয়াসিম জুনিয়রের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১ রান করেই ফিরে যান সাইফ। এরপর ওয়ান ডাউনে নামা শান্ত পঞ্চম ওভারে ওয়াসিমের বলেই ক্যাচ আউট হন। তিনি করেন ৭ রান। ম্যাচের  ৯ ওভারের সময় মোহাম্মদ নওয়াজের  বলে  ৬ রান করে বোল্ড হন। দলীয় ৬১ রানের সময় আফিফ সাদাব খানের বলে , ৯৬ রানের সময় সোহান হ ও আমিনুল ইসলাম ১০৭ রানের সময় হাসান আলীর বলে আউট হন। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পান হাসান আলীই।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ