তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২৭ রান করেছে বাংলাদেশ। ফলে জয় পেতে হলে এখন পাকিস্তানকে করতে হবে ১২৮ রান।
ম্যাচটিতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পরে টাইগাররা। ওপেনার ও শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় চরম চাপে পরে তারা। কিন্তু মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তাঢ চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সমর্থ হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ শুরুতে চাপে পরে গেলে দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন, মাহাদী হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। আফিফ ৩৬, সোহান ২৮ রান করে আউট হন। অপরদিকে মাহাদী ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথম ১১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম থেকেই ধুকছিল টাইগাররা। প্রথম দশ ওভারে চাপ সামাল দিতে পারেননি তারা। কিন্তু এগারোতম ওভারে আফিফ দুই বলে দুটি ছক্কা হাকান। এতে অনেকটাই চাপমুক্ত হয় টাইগাররা।
ম্যাচের প্রথম পাঁচ ওভারে কোন বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বোলাররা এতটাই প্রভাব দেখাচ্ছিল। বাংলাদেশ তাদের প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় ষষ্ঠ ওভারে। আফিফ হোসেন চার মারেন হারিস রউফের বলে। কিন্তু দশ ওভার পার হওয়ার পর নিজেদের খুজে পায় টাইগাররা।
এবারে বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের । এ কারণে দলে আনা হয় ব্যপক পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের জোয়ারে অভিষেক হলো ওপেনার সাইফ হাসানের। কারণ বিশ্বকাপে ওপেনিংয়েই সবচেয়ে বেশি ভুগেছে বাংলাদেশ। তবে অভিষেকটা একদম বিবর্ণ হলো সাইফের। সঙ্গে ওপেনিংটা ভালো হলো না টাইগারদের।
অভিষিক্ত সাইফ হাসানের সঙ্গে শুরুতে ব্যাট করতে নামা নাঈম শেখ আউট হয়ে গেছেন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলীর বলে ক্যাচ আউট হয়ে। তিনি মাত্র ১ রান করে আউট হয়েছেন। দুই ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭ রান করে। অপরদিকে তৃতীয় ওভারে ওয়াসিম জুনিয়রের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১ রান করেই ফিরে যান সাইফ। এরপর ওয়ান ডাউনে নামা শান্ত পঞ্চম ওভারে ওয়াসিমের বলেই ক্যাচ আউট হন। তিনি করেন ৭ রান। ম্যাচের ৯ ওভারের সময় মোহাম্মদ নওয়াজের বলে ৬ রান করে বোল্ড হন। দলীয় ৬১ রানের সময় আফিফ সাদাব খানের বলে , ৯৬ রানের সময় সোহান হ ও আমিনুল ইসলাম ১০৭ রানের সময় হাসান আলীর বলে আউট হন। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পান হাসান আলীই।