পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ওপেনার ও শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় প্রতমে চাপে পরে বাংলাদেশ। তবে দশ ওভার শেষ অবশেষে রান পাচ্ছে টাইগাররা। ম্যাচের প্রথম ১৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান তুলতে সমর্থ হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নুরুল হাসান সোহান ও মাহাদী হাসান মিলে এখন দলকে একটি ভালো জায়গায় পৌছে দেয়ার চেস্টা করছেন। তাছাড়া আফিফ হোসেন ৩৬ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে শুরুর চাপ থেকে তুলে ধরেন।
এর আগে ম্যাচের প্রথম থেকেই ধুকছিল টাইগাররা। প্রথম দশ ওভারে চাপ সামাল দিতে পারেননি তারা। কিন্তু এগারোতম ওভারে আফিফ দুই বলে দুটি ছক্কা হাকান। এতে অনেকটাই চাপমুক্ত হয় টাইগাররা।
ম্যাচের প্রথম পাঁচ ওভারে কোন বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বোলাররা এতটাই প্রভাব দেখাচ্ছিল। বাংলাদেশ তাদের প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় ষষ্ঠ ওভারে। আফিফ হোসেন চার মারেন হারিস রউফের বলে।
এবারে বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের । এ কারণে দলে আনা হয় ব্যপক পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের জোয়ারে অভিষেক হলো ওপেনার সাইফ হাসানের। কারণ বিশ্বকাপে ওপেনিংয়েই সবচেয়ে বেশি ভুগেছে বাংলাদেশ। তবে অভিষেকটা একদম বিবর্ণ হলো সাইফের। সঙ্গে ওপেনিংটা ভালো হলো না টাইগারদের।
অভিষিক্ত সাইফ হাসানের সঙ্গে শুরুতে ব্যাট করতে নামা নাঈম শেখ আউট হয়ে গেছেন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলীর বলে ক্যাচ আউট হয়ে। তিনি মাত্র ১ রান করে আউট হয়েছেন। দুই ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭ রান করে। অপরদিকে তৃতীয় ওভারে ওয়াসিম জুনিয়রের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১ রান করেই ফিরে যান সাইফ। এরপর ওয়ান ডাউনে নামা শান্ত পঞ্চম ওভারে ওয়াসিমের বলেই ক্যাচ আউট হন। তিনি করেন ৭ রান। ম্যাচের ৯ ওভারের সময় মোহাম্মদ নওয়াজের বলে ৬ রান করে বোল্ড হন।