মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ওষুধ ছাড়াই এইডস মুক্তি! রূপকথার মতো শোনালেও এটাই সত্যি! শুধুমাত্র রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জোরেই মারণ রোগকে শরীর থেকে নিকেশ করে দিলেন এক এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তি। যা নতুন আশার আলো দেখিয়েছে বিশ্বকে। অতিবিরল এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে আমেরিকা। ‘অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’ পত্রিকায় ওই ঘটনাটি প্রকাশিত হয়েছে।
এইডস ভাইরাস অত্যন্ত চতুর। মানবদেহে প্রবেশের পর জিনোমে নিজের রিজার্ভার তৈরি করে ডালপালা মেলতে থাকে। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধে রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এই রিজার্ভার ধ্বংস করা যায় না। ফলে বারবার অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল খেতে হয় রোগীকে। কিন্তু এক্ষেত্রে রোগী অসাধ্যসাধন করেছে। নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জোরেই দুর্র্ধষ অনুজীবকে কুপোকাত করেছেন এক আর্জেন্টাইন মহিলা। জার্নাল উদ্ধৃত করে ভাইরোলজিস্টরা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে আর্জেন্টিনার অ্যাসপারাঞ্জার ওই বাসিন্দার শরীরে এলাইজা ও সেরোলজি পরীক্ষায় এইচআইভির হদিশ মেলে। ধারাবাহিকভাবে ওই রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিং ও সেরোলজি পরীক্ষা করা হয়। জানা গিয়েছে, রোগ ধরা পড়ার প্রথম ছ’মাস ওই মহিলা ওষুধ খেয়েছিলেন। তারপর বন্ধ করে দেন। ২০১৭ সালে মহিলার রিপোর্ট দেখে চমকে যান প্যাথোলজিস্টরা। শরীর থেকে বেমালুম উধাও ভাইরাসের রিজার্ভার। প্রায় দেড় লাখ মিলিয়ন রক্তকোষ বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তেই পৌঁছন বিজ্ঞানীরা।
টি-সাইটোটক্সিক কোষ ও ন্যাচারাল কিলার সেলকে হাতিয়ার করে এইডস ভাইরাসকে আক্রান্ত কোষ সমেত নিকেশ করতে পারে কারও কারও ইমিউন সিস্টেম। এই ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে থাকার সম্ভাবনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা। এই ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হলে এইডস ভাইরাস চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হবে। সেলথেরাপি করিয়ে রোগীর ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে বধ করা যাবে এইডসকে। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিরেট্রোভাইরালের সঙ্গে কদর বাড়বে ইমিনোমডিউলেটরের। সূত্র : এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।