Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছেড়ে দেয়া হয়েছে আটককৃতদের

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা নেই

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর আন্দরকিল্লায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ব্যাপক গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল (বুধবার) বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। থানার ডিউটি অফিসার এসআই রোকেয়া জানান, কোনো পক্ষ মামলা করতে আসেনি। আর পুলিশও এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা করেনি। সংঘর্ষের সময় ১১ জনকে আটক করা হলেও ৭ জনকে রাতেই ছেড়ে দেয়া হয়। আর বাকি ৪ জনকেও সন্ধ্যা নাগাদ ছেড়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল বলে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত টানা এক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলাকালে নগরীর আন্দরকিল্লা থেকে শুরু করে চেরাগী পাহাড়, কাটা পাহাড় ও বক্সির হাট এলাকা পর্যন্ত রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। দুই পক্ষ ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। বেশ কয়েকটি দোকান, গাড়িও ভাঙচুর করে উভয় পক্ষের কর্মীরা। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর আগের রাতের সংঘর্ষের জেরে এ সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ।
ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক সিআরবি এলাকায় জোড়া খুন মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম লিমন এবং নগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ওয়াহিদ রাসেলের অনুসারীরা একে অন্যকে দায়ী করছে। এর আগে সোমবার রাতে শশী নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে নগরীর আন্দরকিল্লা  মোড়ের অদূরে নজির আহমদ চৌধুরী সড়কে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বাসায় যায় সাইফুল ইসলাম লিমন। সেখান থেকে  বের হয়ে আসার পর পূর্বশত্রুতার জেরে শশীর ওপর হামলা চালায় ওয়াহেদ রাসেলের অনুসারীরা।
মঙ্গলবার রাতের ঘটনার বিষয়ে সাইফুল ইসলাম লিমন বলেন, চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল বারী বাপ্পীর বাসা লক্ষ্য করে কারা যেন গুলি করেছে। এরপর সমস্যার শুরু হয়। সাইফুল বারী বাপ্পীও লিমনের অনুসারী। তার বাসা আন্দরকিল্লা মোড়ের অদূরে কদম মোবারক মসজিদ গলিতে। বাপ্পী বলেন, গতকাল রাতেও আমার বাসা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। আজ দুপুরে আবার গুলি ছোড়ে ওয়াহেদ রাসেলের অনুসারীরা।
এর প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার অনুসারীরা মিছিল  বের করলে ওয়াহেদ রাসেলের ছেলেরা মিছিলে হামলা করে। তারাই দোকানপাট ভাঙচুর করেছে। ককটেল ফাটিয়েছে ও গুলি করেছে। এদিকে ওয়াহেদ রাসেলের এক অনুসারী বলেন, রাতে শশী কয়েকটি মোটরসাইকেলে চড়ে সঙ্গীদের নিয়ে আন্দরকিল্লা  মোড়ে এসে নগর ভবনের সামনে ককটেল ফাটায় এবং ফাঁকা গুলি করে। এরপরই দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য মজিবুল হক সুমন বলেন, শশী ও লিমনের অনুসারীরা এসে আন্দরকিল্লা এলাকায় তিনটি অটোরিকশা ও একটি বাস ভাঙচুর করে। তারা নিজেরাই সব করেছে। রাসেলের ছেলেরা কেউ সেখানে ছিল না। স্থানীয়রা জানায়, নগর ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের পর উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা লাঠি ও কিরিচ নিয়ে শোডাউন দেয়। এরপর এক পক্ষ ফাঁকা গুলি ছোড়ে চেরাগী পাহাড় মোড়ের দিকে চলে যায়। এসময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। যাদের দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে তারা কেউ ভয়ে থানায় যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত একজন ব্যবসায়ী বলেন, উল্টো হয়রানির ভয়ে তারা মামলা করা থেকে বিরত রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছেড়ে দেয়া হয়েছে আটককৃতদের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ