মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে দ্রুত সচল হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রেও। এ বছর নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে (চীন বাদে) প্রবাসী আয় বাড়তে চলেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে, যা আগের অনুমানগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। অথচ মাত্র এক বছর আগেই করোনার আঘাতে রেমিট্যান্স প্রবাহ নেমে গিয়েছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশতে। সেই পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর (চীন বাদে) সম্মিলিত প্রবাসী আয় ৫৮ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। টানা দ্বিতীয় বছর দেশগুলোতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ও বিদেশি উন্নয়ন সহযোগিতার (ওডিএ) চেয়ে প্রবাসী আয় বেশি হতে চলেছে। প্রয়োজনের সময় অভিবাসীদের পরিবারকে বাড়তি সহায়তা দেওয়ার তাগিদ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে। রয়েছে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল আর্থিক প্রণোদনা এবং তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে রাশিয়া-উপসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক গতিশীলতার প্রভাবও। বিশ্বব্যাংক বলছে, এ বছর বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলেই প্রবাসী আয় বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি বাড়ছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে, প্রায় ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। এরপর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, দক্ষিণ এশিয়ায় আট শতাংশ, সাব-সাহারান আফ্রিকায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। এমনকি চীনকে বাদ দিয়ে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রবাসী আয়ও বাড়ছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে ২০২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বেশ চড়া লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্বব্যাংকের রেমিট্যান্স প্রাইস ডেটাবেজ অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিশ্বজুড়ে রেমিট্যান্স খরচ ছিল গড়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) নির্ধারিত তিন শতাংশের দ্বিগুণেরও বেশি। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ সবচেয়ে বেশি সাব-সাহারান অঞ্চলে। সেখানে ২০০ ডলার পাঠাতে গেলে আট শতাংশ অর্থাৎ ১৬ ডলার খরচ করতে হয়। বিপরীতে, রেমিট্যান্স খরচ সবচেয়ে কম দক্ষিণ এশিয়ায়। এ অঞ্চলের দেশগুলোতে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ গড়ে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ায় ১৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় ঢুকতে পারে। এর মধ্যে ভারতের আয় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে। একই সময় পাকিস্তানের প্রবাসী আয় বাড়তে পারে রেকর্ড ২৬ শতাংশ। এ বছর দেশটি ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বছর দক্ষিণ এশিয়ায় এফডিআইয়ের চেয়ে প্রবাসী আয় দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির হিসাবে, বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ সবচেয়ে কম। তবে এ অঞ্চলে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর চেয়ে ডিজিটাল পদ্ধতি বা অন্য চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর খরচ এখনো কম। এ কারণে প্রবাসীরা এসব চ্যানেল ব্যবহারেই বেশি আগ্রহী। এ অবস্থায় রেমিট্যান্স সংক্রান্ত সাশ্রয়ী নীতি চালুর মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় সরকার ও প্রবাসী উভয়ই লাভবান হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।