Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনা চিকিৎসায় ফিলিস্তিনির মৃত্যু

ইসরাইলের কারাগারে পাঁচ শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দি গুরুতর অসুস্থ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

সামি আল-মাউর নামে এক ফিলিস্তিনি যুবক ইসরাইলি কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার। ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যুতে অধিকৃত পশ্চিমতীরে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ইসরাইলের কারাগারে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অনশনরত আরেক ফিলিস্তিনি বন্দির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসরাইলি চিকিৎসকরা। আরও চার ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরাইলি বাহিনীর অবৈধ আটকাদেশের বিরুদ্ধে অনশন করছেন। ইসরাইলের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিটেনশন পলিসি বা বিনাবিচারে আটক রাখার নীতির প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি যুবক কাইদ আল-ফাসফুস গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অনশন করে যাচ্ছেন। খবরে বলা হয়, ওই ফিলিস্তিনি বন্দির নাম সামি উমর, বয়স ৩৯। নাকাব শহরের সরোকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ছিলেন ওই ফিলিস্তিনি। জন্মগতই হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল তার। খবরে বলা হয়, এ পর্যন্ত পাঁচশোর বেশি ফিলিস্তিনি নারী ও পুরুষ বন্দি গুরুতর অসুস্থ। ফিলিস্তিনি বন্দি বিষয়ক বিভিন্ন গ্রুপ জানিয়েছে, তার চিকিৎসায় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং আটক অবস্থায় বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ায় তার সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছিল। প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটি (পিপিএস) জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগে ওমরকে নাফা কারাগার থেকে আসকালান কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বের আল সাব শহরের সরোকা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার দুটি অপারেশন করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। গাজা উপত্যকার খান ইউনুস থেকে ওমরকে আটক করা হয়েছিল। তাকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রায় ১৩ বছর ধরে তিনি কারাভোগ করছিলেন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তাকে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। আটকের একেবারে শুরুর দিকে তিনি অল্প কয়েকবার তার মায়ের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পান। পিপিএস বলছে, বন্দিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা দখল করে ইসরাইল। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিদের বন্দিদের চিকিৎসায় অবহেলার কারণে ৭২ জন প্রাণ হারান। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনি বন্দি হুসেইন মাসামাহ মারা যান। ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাকাব কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় প্রায়ই তিনি অসুস্থ থাকতেন। তার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হতো। অপরদিকে গত বছরের নভেম্বরে ফিলিস্তিনি বন্দি কামাল আবু ওয়ায়ের মারা যান। তাকে ২০০৩ সালে গ্রেফতার করা হয় এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইসরাইলি কারাগারে পাঁচশোর বেশি ফিলিস্তিনি নারী ও পুরুষ বন্দি গুরুতর অসুস্থ। এর মধ্যে ডজনখানেকই ক্যান্সারে আক্রান্ত। ওয়াফা, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ