নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়শিপে প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদক জিতে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশের তারকা তীরন্দাজ মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল ও দিয়া সিদ্দিকী। শুক্রবার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে এশিয়ান আরচ্যারির সমাপনী দিনের তৃতীয় ইভেন্ট রিকার্ভ মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার রিউ সু জুং এবং লী সিউং ইউন জুটির বিপক্ষে তীর-ধনুক হাতে লড়াই করবেন রুবেল ও দিয়া। এর আগে গত মঙ্গলবার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ সেমিফাইনালে রুবেল-দিয়া জুটি ৫-৪ সেট পয়েন্টে ভারতের অঙ্কিতা ভক্ত-কপিল জুটিকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। পরের দিন রিকার্ভ দলগত মহিলা ও পুরুষ ইভেন্টে ব্রোঞ্জপদক জিতে এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মত পদক তলিকায় নাম লেখায় লাল-সবুজরা। যে কারণে রুবেল-দিয়াকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ আরো উপরে উঠেছে দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের।
রিকার্ভ মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিযোগীদের হারিয়ে ইতিহাস গড়তে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের দুই আরচ্যারই। গত মে মাসে সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড কাপ (স্টেজ-২) আরচ্যারিতে ফাইনালে খেলেছিল দিয়া সিদ্দিকী ও রোমান সানা জুটি। যদিও ওই আসরে স্বর্ণবঞ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এবার আর পেছন ফিরে তাকাতে চাননা রুবেল-দিয়া। তাই তো বৃহস্পতিবার দিয়ার কন্ঠে ঝরলো আত্মবিশ্বাসের সুর,‘ফাইনাল খেলতে আমি মেন্টালি প্রিপেয়ার্ড আছি। ফাইনালে আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করবো। কোচদের উৎসাহে আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। নিজের প্রতি বিশ্বাস আছে, আমি আমার সেরাটা দিতে পারলে কোরিয়াকে হারানো সম্ভব।’
যে কোন খেলায় মানসিক বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন দিয়া। এ নিয়ে তার কথায়,‘আমি যেটা বলবো মেন্টাল, মেন্টালি সব সময় প্রস্তুত থাকতে হয়, শান্ত থাকতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা বেশি নার্ভাস হওয়া যায় না। স্বাভাবিকভাবে আমাদের গেমের সময় সবারই একটু দূর্বলতা কাজ করে, কারো বেশি কারো কম। তবে আমি জোর দিয়ে বললো মানসিক দিক দিয়ে আমরা পুরোপুরি স্বাভাবিক আছি। রুবেল ভাই ও আমি দু’জনের উপর দু’জনের বিশ্বাস আছে। আমরা যদি দু’জনের বিশ্বাস আর কো-অর্ডিনেশন ধরে রাখতে পারি, টিম ওয়ার্ক ঠিক থাকে তাহলে হয়তো ভালো কিছু হবেই।’
এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়শিপের এবারের আসরে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি হাকিম আহমেদ রুবেল। রোমান সানাকে টপকে সবার নজর তিনি কেড়ে নিয়েছেন। কুড়িগ্রামের এ আর্যচার আজকের ফাইনাল নিয়ে কোনো চাপ নিচ্ছেন না। রুবেল বলেন, ‘আমি ওরকমভাবে কোনো চাপ নিছি না। কারণ নিজেদের মধ্যেই খেলবো। আর এমন না যে কোরিয়ার সঙ্গে এটা প্রথম ম্যাচ। আমরা জানি তারা অনেক ভালো খেলোয়াড় ,তবে আমরা আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো। সাফল্য তুলে নিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।’
তিনি যোগ করেন,‘সব খেলাতেই টিম ওয়ার্কের প্রয়োজন আছে। যা একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আরেকজনের মতামত, যাচাই-বাছাই বা কম্বিনেশন যেটা বলে সেটা ঠিক হওয়া উচিৎ। দিয়া আর আমি যখন প্রতিটা অ্যারো শ্যূট করি, নিজেদের মধ্যে একটা কথোপকথন করে নেই। বলি যে দেখো খেলাটা ওদের সঙ্গে হচ্ছে না। মনে করো তোমার আর আমার মাঝে হচ্ছে। এরকম করে নিজেদের মাঝে একটা অনুশীলনের মতো করেই খেলবো। এভাবেই আমরা চালাচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।