Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের ব্যর্থতা এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রাম

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ আবদুল গফুর
গত মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাব-এর ‘আন্তর্জাতিক’ পাতায় একটা ছবি ছাপা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ভারতের গোয়াতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট ভাষণদান করছেন আর সে সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে ক্রুদ্ধভাবে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। একদিকে চীনা প্রেসিডেন্টের শান্ত-সমাহিত বক্তৃতা প্রদান, অন্যদিকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া এতেই কূটনৈতিক ক্ষেত্রে উভয়ের সাফল্য বা ব্যর্থতার চিত্র প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে।
একাধিক দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নে কূটনীতি সভ্যতার ইতিহাসে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা পালন করে। পৃথিবীতে সব স্বাধীন রাষ্ট্রই নিজ নিজ দেশের জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে এটাই স্বাভাবিক। সে নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি হওয়াটাও স্বাভাবিক। সফল কূটনীতিকরা এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সন্তোষজনক সমাধান অন্ততপক্ষে একটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ ব্যাপারে নয়া চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে কিংবদন্তি কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জারের সাফল্য একটি বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
কূটনৈতিক সাফল্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত আলোচকদের যে গুণ অপরিহার্য থাকা প্রয়োজন তা হচ্ছে সীমাহীন ধৈর্যসহকারে শান্ত সমাহিতভাবে বিরুদ্ধ পক্ষের যুক্তি খ-ন করে সংশ্লিষ্ট দেশের আপাত বিরোধী অবস্থান যে সে দেশের জন্যও স্বার্থের অনুকূল নয়, তা বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হওয়া। গোয়াতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের যে চিত্র নিয়ে বক্ষ্যমান প্রবন্ধ শুরু হয়েছে সেটাই বলে দেয় চীন ও ভারতের দুই নেতার কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য-অসাফল্যের কথা।
এবার আসা যাক ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের সাফল্য বা ব্যর্থতা ও তার কারণ সম্পর্কে। ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণিত করা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ব্যাপারে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে বক্তৃতাও দেন। তিনি প্রতিবেশী দেশ তথা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর বলে আখ্যায়িত করেন এবং ব্রিকসের সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে সীমান্তের ওপারের এই রাষ্ট্রটির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানান।
কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি। ভারতের এ ব্যর্থতার সঙ্গত কারণও ছিল। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে যে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে পাকিস্তানকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র প্রমাণ করতে চেয়েছিল ভারত তা মূলত কাশ্মীরি জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রাম। স্বাধীনতা যে কোনও জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকারসমূহের অন্যতম। কাশ্মীরি জনগণের এ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আজকের বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বৃটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের মতোই পুরনো।
১৯৪৭ সালে ১৯০ বছরের বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদী শাসনের অবসানে উপমহাদেশ যখন বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তার ভিত্তি ছিল উপমহাদেশের যেসব অঞ্চল মুসলিম- অধ্যুষিত তা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং যেসব অঞ্চল হিন্দ-অধ্যুষিত তা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে। এ ব্যবস্থা ছিল বৃটেনের সরাসরি শাসিত বিভিন্ন প্রদেশ সম্পর্কে। আর যেসব অঞ্চল দেশীয় রাজ্য (প্রিন্সলি স্টেট) ছিল, তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শাসনকর্তার ইচ্ছা মোতাবেক ভারত অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিতে পারবে অথবা স্বাধীন থাকতে পারবে। সে অনুসারে হিন্দু অধ্যুষিত হায়দরাবাদ রাজ্যের মুসলিম শাসক নিজাম ভারত বা পাকিস্তান কোনো রাষ্ট্রে যোগ না দিয়ে স্বাধীন থাকার অভিপ্রায় ঘোষণা করেন। অন্যদিকে জনাগড় ও মানভাদার এ দুটি রাজ্যের মুসলিম শাসক পাকিস্তান রাষ্ট্রে যোগদানের ঘোষণা দেন। ভারত সৈন্য পাঠিয়ে এ তিনটি রাজ্যই দখল করে নেয়।
অন্যদিকে কাশ্মীর একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য হলেও এই রাজ্যের অমুসলিম রাজা হরি সিংহ দুই শর্তে কাশ্মীরের ভারতে যোগদানের ঘোষণা দেন। এই শর্ত দুটি হলোÑ এক. ভারত সৈন্য পাঠিয়ে রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপনে সাহায্য করবে। দুই. গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরি জনগণের রায়ের ভিত্তিতে কাশ্মীরের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। ভারত সেই সুযোগে সেই যে সৈন্য পাঠিয়ে কাশ্মীরে ভারতীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে, এরপর রাজা হরি সিংহের দ্বিতীয় শর্ত মোতাবেক কখনও গণভোটের মারফত কাশ্মীরের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ দেয়নি। উল্টা কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করে।
বিষয়টি এভাবে জাতিসংঘে যায় ভারতেরই উদ্যোগে। জাতিসংঘ এ ব্যাপারে যে শান্তি কমিশন গঠন করে তার উদ্যোগে নিয়ন্ত্রণ রেখাকে ভিত্তি করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করলেও ভবিষ্যতে জাতিসংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর পাকিস্তানে না ভারতে যোগ দেবে না স্বাধীন থাকবে, তা নির্ধারণের প্রস্তাব দিলেও ভারতের অসম্মতির কারণে অদ্যাবধি কাশ্মীরে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত সে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। ভারত বাইরের জগতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হলেও ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে বাস্তবে চলছে বর্বর সেনা শাসন এবং তার পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ কাশ্মীরি জনগণের জীবনপণ স্বাধীনতা সংগ্রাম। কাশ্মীরি জনগণের এই স্বাধীনতা সংগ্রামকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসী কর্মকা- এবং এর জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করেই এ সম্পর্কে তার দায়িত্ব সমাপ্ত করতে চাইছেন।
অবশ্য মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরে নরেন্দ্র মোদির এ বর্বর সেনা শাসন চালিয়ে তৃপ্তি লাভের ব্যাপারে নতুন করে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এই গুজরাটী নেতাই মাত্র কয়েক বছর আগে গুজরাটের মুখ্য মন্ত্রী হিসাবে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গার মারফত হাজার হাজার মুসলিম হত্যার পরিণতিতে ‘ওজরাটের কসাই’ উপাধি লাভ করেন। গুজরাটের সেই দাঙ্গার সুবাদেই পরবর্তীকালে মুসলিমবিরোধী রাজনীতির মধ্যমণি হিসেবে তিনি ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। সেই নরেন্দ্র মোদি এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে মুসলিম জনপদ কাশ্মীরের মুসলিম মুক্তিসংগ্রামীদের রক্তে হোলি খেলতে চাইবেন, তাতে আর আশ্চর্য কি। আর কাশ্মীরের মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি মোতাবেক কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ব্যাপারে জাতিসংঘের এ সম্পর্কিত প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবি করায় পাকিস্তানকে ব্রিকস সম্মেলনে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণার জন্য নরেন্দ্র মোদির চেষ্টা যে ব্যর্থ হতে বাধ্য এ বাস্তবতাটুকু অনুধাবন করতে না পারাটা কোনো সম্মেলনে স্বাগতিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের নেতা নরেন্দ্র মোদির পক্ষে চরম লজ্জার কথা।
বিশ্ব রাজনীতির এক খ্যাতনামা পর্যবেক্ষক একবার বলেছিলেন, কোনো বড় মহৎ কাজ আর ক্ষুদ্র মন কখনও এক সাথে যায় না। ভারতের মতো পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশে নরেন্দ্র মোদির মতো সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার কর্দমাক্ত নেতার কারণেই কাশ্মীরের মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে হোলি খেলার পর ওই মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে ব্রিকসের ঘোষণা পত্রে পাকিস্তানকে এ জন্য দায়ী করার ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদির গলদ্ঘর্ম চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। এ কঠোর সত্য যদি নরেন্দ্র মোদি মনে রাখেন তা হলে বর্তমানে যাই হোক ভবিষ্যতে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মানব কল্যাণকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। আমরা তার দৃষ্টিভঙ্গিগত সে পরিবর্তন আন্তরিকভাবেই কামনা করি।
ভারতীয় নেতৃত্ব সম্বন্ধে আমাদের এ মনোভাবের কারণ হচ্ছে, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। পৃথিবীতে মানুষ তার ধর্মসহ অনেক কিছুই বদলাতে পারে। কিন্তু কিছুতেই প্রতিবেশী বদলাতে পারে না। যাকে বদলাতে পারা যায় না, তার সাথে সদ্ভাবের সম্পর্ক রাখাই বাস্তবে কল্যাণকর। তবে এ মনোভাব উভয় পক্ষের জন্যই প্রযোজ্য। একপক্ষীয় সদ্ভাব যেমন আখেরে সার্থক হয় না, তেমনি প্রতিবেশী মাত্রেরই প্রতিবেশীর সাথে সদ্ভাব রক্ষায় আন্তরিক হলে তবেই তা ফলদায়ক হয়।
পারিবারিক ক্ষেত্রে যেমন দেখা যায় শরিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিশাল পরিবারকে যেমন বিশাল শক্তিতে পরিণত করতে পারে আবার তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বড় ধরনের দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যেও তেমনি পারস্পরিক সুসম্পর্ক একটি বিশাল এলাকাকে শান্তির জনপদে পরিণত করতে পারে।
বিশেষ করে যেহেতু বাংলাদেশ সকল প্রতিবেশী দেশের সহিত বন্ধুত্ব ও সৎ প্রতিবেশীত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়, তাই সকল প্রতিবেশী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল। তবে বাংলাদেশের এ পরিচ্ছন্ন মনোভাব তখনই সার্থক হয়ে উঠতে পারে যখন অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রসত্তার প্রতি একই রূপ মনোভাবের পরিচয় দিতে পারেন।
দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশসমূহের প্রতি এ মনোভাব পোষণ করে চললেও কোনো কোনো প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে একটি প্রকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখার চেয়ে তাদের একটি আশ্রিত রাষ্ট্র হিসেবে দেখতেই অধিক আগ্রহী। সে কারণে বাংলাদেশের মধ্যে সে দেশবিরোধী মনোভাব অনেক ব্যাপক ও প্রবল। এটাই স্বাভাবিক। কারণ স্বাধীনতা যেমন প্রতিটি ব্যক্তি মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা, তেমনি যে কোনো জনগোষ্ঠী তথা জাতির প্রধান স্বপ্নই তার স্বাধীন সত্তা। অথচ বাংলাদেশের এই স্বাধীনত্তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা কোনো কোনো বৃহৎ প্রতিবেশী দেশের বাস্তব আচরণের মধ্য দিয়ে প্রকটভাবে ফুটে ওঠে, যা দুঃখজনক।
আমাদের অতীত ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই ১৭৫৭ সালের যে পলাশী বিপর্যয়ের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যায়, তার পরিণাম ফল হিসেবে একদা সমগ্র উপমহাদেশই বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদী শাসনের কবলিত হয়। ১৯০ বছর পর ১৯৪৭ সালে বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদী শাসনের কবলমুক্ত হয় স্বাধীন পাকিস্তান ও ভারত নামের দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে। সে সময় আজকের বাংলাদেশ পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয় তার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তান নামে। ১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের মর্মানুসারে সাবেক পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাংলাদেশ নামে একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের দোহাই দিয়ে যেমন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পশুবলে আমাদের পদানত রাখার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান, তেমনি কাশ্মীরে আজ ভারত সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পশুবলে কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা স্পৃহা ধ্বংস করে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একাত্তরে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে যেমন সন্ত্রাসী কর্মকা- বলে চালিয়েছিল তদানীন্তন পাকিস্তান, আজ তেমনি ভারত কাশ্মীরিদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ব্যর্থ করে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে একইভাবে। কিন্তু আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, কোনো জনগোষ্ঠী যখন স্বাধীনতা লাভের লক্ষ্যে রক্ত দিতে প্রস্তুত হয়ে যায়, কোনো অপশক্তিই তা ব্যর্থ করে দিতে পারে না। তাই কাশ্মীরিদের রক্তদানও যে ব্যর্থ হবে না, এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।



 

Show all comments
  • md.hafizur rahaman ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:১৯ এএম says : 0
    In sha Allah
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের ব্যর্থতা এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রাম
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ