Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অল্পের জন্য রক্ষা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৭ এএম

নাসা ও ভারতের মহাকাশযানের মধ্যকার দূরত্ব ১০০ মিটারেরও কম হয়ে গিয়েছিল। দু’টি যানই তখন চাঁদের উত্তর মেরুর কাছে। ফলে নাসার মহাকাশ যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারত ভারতের চন্দ্রযান-২-এর। তবে অল্পের জন্য সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়।

‘কলিশন অ্যাভয়ড্যান্স ম্যানিউভরে›র মাধ্যমে মার্কিন ‘লুনার রিকনিস্যান্স অরবিটারে’র সংঘর্ষ এড়ায় চন্দ্রযান-২-এর অরবিটার। দুই মহাকাশযানের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারত গত ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। তবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের তৎপরতায় সেই সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। এই সম্পর্কে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরো। বিবৃতি অনুযায়ী, একটা সময়ে নাসা ও ভারতের মহাকাশযানের মধ্যকার দূরত্ব ১০০ মিটারেরও কম হয়ে গিয়েছিল। দু›টি যানই তখন চাঁদের উত্তর মেরুর কাছে। প্রসঙ্গত, মহাকাশে দুই যানের মধ্যে ন্যূনতম ৩ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। সেই তুলানয় অনেক বেশি কাছে চলে এসেছিল দুই দেশের যান। শেষ মুহূর্তে কলিশন অ্যাভয়ড্যান্স ম্যানিউভরের মাধ্যমে সেই সংঘর্ষ রুখে দেয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা। ১৮ অক্টোবর ভারতীয় সময়ে রাত ৮টা ২২ মিনিটের সময় শুরু হয় কলিশন অ্যাভয়ড্যান্স ম্যানিউভর।

অরবিটার, ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান সমেত ২০১৯ সালের ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল চন্দ্রযান-২। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিক্রমের অবতরণ করার কথা থাকলেও তা সফল হয়নি। তবে এই অভিযানের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল চন্দ্রযানের অরবিটারটি। মার্কিন মহাকাশ যানের সঙ্গে সংঘর্ষে সেটি নষ্ট হলে তা বড় ক্ষতি হত ইসরোর জন্য। সূত্র : টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ