নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়শিপে প্রথমবারের মতো পদক জিতল বাংলাদেশ। বুধবার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের রিকার্ভ বিভাগে পুরুষ ও নারী দলগত ইভেন্টের খেলায় দু’টি ব্রোঞ্জ জিতেছেন লাল-সবুজের তীরন্দাজরা। এদিন সকালে রিকার্ভ নারী দলগত ইভেন্টে ভিয়েতনামের তীরন্দাজদের ৫-৩ সেটে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জয় করেন বাংলাদেশের দিয়া সিদ্দিকী, নাসরিন আক্তার ও বিউটি রায়। নারীদের দলগত ইভেন্টের পর রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে কাজাখাস্তানকে ৬-২ সেটে হারিয়ে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করেন রোমান সানা, হাকিম আহমেদ রুবেল ও রামকৃষ্ণ সাহারা।
এশিয়ান আরচ্যারি থেকে দেশকে প্রথম পদক এনে দেয়ার পর দিয়া সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমরা পারবো। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মত আসরে প্রথমবারের মতো পদক জিততে পেরে আমরা অনেক খুশি।’ বিউটি রায়ের কথা, ‘ম্যাচের আগে যখন অনুশীলন করছিলাম, তখন আমার চেজ গার্ডে সমস্যা হচ্ছিল। তখন কোচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কোচ আমাকে বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখনো সময় আছে। চেজ গার্ড চেঞ্জ করে আবার মারো। কোচের কাছ থেকেই আমরা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। তিনি সাহস না দিলে আমি হয়তো তা হারিয়ে ফেলতাম। কোচের মুখ দেখলেই আসলে আমরা বুঝতে পারি যে, ভালো করবো ও সাফল্য পাবো।’ নাসরিন আক্তার বলেন, আমরা এই প্রথম এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতলাম। এমন সাফল্য পেতে টানা এক বছর অনুশীলন করেছি। কোন ছুটি ছিল না। শুধু ম্যাচ আর অনুশীলনে নজর দেওয়ায় এখানে তিন জনই ভাল করতে পেরেছি।’
তবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আরও বড় পদক জয়ের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে বাংলাদেশের। দ্বৈত মিশ্র দলগত ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের দিয়া ও রুবেল জুটি। এই ইভেন্টের ফাইনাল হবে শুক্রবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।