Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারাদিন অপেক্ষার পর গ্রাহককে খালি হাতে ফিরতে হয় বাড়ি

কেশবপুর ভূমি অফিসে জনবল সংকট

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কেশবপুর (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা
যশোরের কেশবপুর উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারীর ১১টি পদের মধ্যে ৮টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। বর্তমান নামজারি সহকারী ও নাজির কাম ক্যাশিয়ার কর্মরত থাকলেও তারা রয়েছেন ডেপুটেশনে। ফলে প্রতিদিন এ অফিসে কাজ নিয়ে আসা শত শত মানুষ লাইন দিয়ে বসে থেকেও শেষ পর্যন্ত কাজ সারতে না পেরে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন বলে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছেন। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জনগণের সেবায় বাংলাদেশ সরকারের উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মচারী নিয়োগবিধি অনুযায়ী প্রতিটি ভূমি অফিসে কর্মচারির ১১টি পদ রয়েছে। এরমধ্যে একজন করে কানুনগো, উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, নাজির কাম ক্যাশিয়ার, সার্টিফিকেট পেশকার, সার্টিফিকেট সহকারী, অফিস সহকারী, সায়রাত সহকারী, নামজারি সহকারী, সার্ভেয়ার সহকারী ও ২ জন চেইনম্যান সহকারীর পদ রয়েছে। এ অফিসের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি সংরক্ষণ, দুস্থদের আবাসন সংরক্ষণ, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, ভিপি সম্পত্তির সরকারি অর্থ আদায়, ভিপি খ অবমুক্তিকরণসহ জনগণ নামজারি, জমির বিরোধ নিরসন, ভ্রুম সংশোধন, জমি বেঁচা কেনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে প্রতিদিন শতশত লোক এ অফিসে ভিড় জমিয়ে থাকেন। কিন্তু এ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি পদের মধ্যে ৮টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। বর্তমান এ অফিসে নামজারি সহকারী ও নাজির কাম ক্যাশিয়ার থাকলেও তারা রয়েছেন ডেপুটেশনে। বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি জমির বিরোধ নিরসনের জন্যে সার্ভেয়ার পাবার আশায় গত একমাস ধরে এ অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু সার্ভেয়ার না থাকায় তিনি কাজটি করতে পারছেন না। শুধু ইসমাইল হোসেন নয়। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসা শতশত লোক এ অফিসে এসে কাজ সারতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। ডেপুটেশনে থাকা এ অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার ফরিদুল ইসলাম জানান, এ অফিসের জনবল সংকট দীর্ঘদিনের সমস্যা। অফিসে আসার সময় আছে কিন্তু যাওয়ার সময় নেই। শত শত লোকের সেবা দিতে গিয়ে অফিস সময় বাদেও রাত জেগে কাজ করতে হয়। এরপরও অনেক জনগণ সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। ফলে সরকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. লিটন আলী জানান, জনবল সংকটের কারণে অনেক আবেদন পড়ে আছে। যথা সময়ে গ্রাহক সুবিধা পাচ্ছে না। একজনকে সমস্ত কাজ করতে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সাম্প্রতি ভূমি অফিসের বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অচিরেই এ উপজেলায় ৩/৪ জন কর্মচারি যোগদান করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সারাদিন অপেক্ষার পর গ্রাহককে খালি হাতে ফিরতে হয় বাড়ি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ