Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদনের আকর্ষণ কাশবনে ভ্রমণ

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে

মাগুরার মানুষের কাছে ঈদ-পূজা পার্বণসহ ছুটির আনন্দের সাথে যোগ হয়েছে শহরের পার্শ্ববর্তী হাউজিং সোসাইটির কাশবনে ভ্রমণ। মাগুরা শহরে কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় গত কয়েক বছর ধরে একটু স্বস্তির আশায় যুবক-যুবতী শিশু-কিশোররা বিকেলে ছোটে এ কাশবনে। তিনদিকে নদী আর বিশাল কাশবন মাঝে মাঝে চওড়া রাস্তা শিশু-কিশোরদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য খুবই উপযোগী। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমনি মনের প্রস্বস্তির জন্য প্রয়োজন বিনোদনের। মাগুরায় কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। তাই এই কাশবনের নৈসর্গিক আবহে এবং কাশফুলের আমন্ত্রণে শহরের বন্ধি জীবন থেকে একটু স্বস্তি পেতে হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে শত শত ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসছে এ কাশবনে। নতুন ও নানান রং-বেরংয়ের পোশাকে প্রতিদিন মানুষের উপস্থিতিতে এখানে মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। কাশবন ভ্রমণপিপাসু মানুষের কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠে। এলাকা ধারণ করে নতুন রূপ। কুশল বিনিময়সহ চলে প্রাণ খুলে আড্ডা আর নানান ধরনের ফটো সেশন। সেই সাথে রয়েছে নৌকা ভ্রমণের সুবিধা। ছোট ছোট নৌকা রয়েছে সারি সারি। ইচ্ছে হলেই ভাড়া করে ঘুরে বেড়ানো যায় তিনদিকে নদী পরিবেষ্টিত এ হাউজিং প্রকল্পের এলাকায়। মানুষের এ মিলন মেলাকে কেন্দ্র করে ঝালমুড়ি, ফুসকাসহ নানান ধরনের খাবারের পসরা বসিয়ে দোকানিরা অর্থ উপার্জনে লেগে যায়। মানুষের দেহের জন্য খাদ্যের পাশাপাশি বিনোদনের প্রয়োজন থাকলেও মাগুরায় কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। অনুন্নত এলাকা হিসেবে মাগুরায় সরকারি বা ব্যবসায়িকভাবে কেউ কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন মনে করেননি। আর এ কারণে এলাকার কিশোর-যুবকরা অসুস্থ বিনোদনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সে অবস্থার মধ্যে এই এমনি এমনিতে গড়ে ওঠা বিনোদন কেন্দ্রটি কিছুটা হলেও সুস্থ বিনোদনের সুযোগ দিচ্ছে। পূজা পাবণসহ বিভিন্ন ছুটিতে মানুষের মন চায় বদ্ধঘর থেকে একটু মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াতে। আর এজন্যে প্রতিদিন বিকেলে রিকশা অটোরিকশায় চেপে এমন কি পায়ে হেঁটে ভিড় জমায় এ কাশবনে। মাগুরায় কোনো পার্ক না থাকায় এ স্থানকেই বিনোদনের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে দেহ-মনের স্বস্তির জন্য। এ কাশবনে ভ্রমণে এসে মাঝেমধ্যে ছিনতাইকারী ও এক শ্রেণীর চাঁদাবাজিদের কবলেও পড়তে হচ্ছে কোনো কোনো ব্যক্তিদের। এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা আবেদন জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে জনৈক ব্যবসায়ী শহরতলীর আঠারখাদা এলাকায় থিম পার্ক নামে একটি পার্ক তৈরি করেছিলেন। পার্কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মাগুরায় আর কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় এ কাশবনকেই বিনোদনের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। মানুষের প্রয়োজনে এটিকে রক্ষণাক্ষেণ করা উচিৎ বলে মত পোষণ করেছেন অনেকেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিনোদনের আকর্ষণ কাশবনে ভ্রমণ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ