Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুমিন হিসেবে আমাদের কুরআন ও সুন্নাহর পরিপূর্ণ অনুসারী হতে হবে

কক্সবাজারে ইছালে ছওয়াব মাহফিলে পীর সাহেব বায়তুশ শরফ, আল্লামা আব্দুল হাই নদবী

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২১, ৯:২১ পিএম

পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা আব্দুল হাই নদবী বলেন, একজন মুমিন হিসেবে আমাদেরকে কুরআন ও সুন্নাহর পরিপূর্ণ অনুসারী হতে হবে। বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ) ছিলেন, মহানবী সঃ এর জীবনাদর্শের পরিপূর্ণ অনুসারী। বর্তমান এই যুগে বড় পীর (রহ) এর অনুসরণে দিগভ্রান্ত মানবতা সঠিক দিশা খুঁজে নিতে পারে।

বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রঃ এর ওফাত দিবসে ফাতেহায়ে ইয়াজ দাহুম উপলক্ষে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে আয়োজিত দুই দিন ব্যাপী মাহফিলে ইছালে ছওয়াব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে সোমবার বাদ আসর।

বাদ মাগরিব বায়তুশ শরফ এর বর্তমান প্রাণ পুরুষ পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা আব্দুল হাই নদবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মুল কর্মসূচী।

আল্লামা নদবী বলেন, তিনি ছিলেন নবী করিম (সঃ) এর বংশধর। হযরত হাসান ও হুসাইন এর সোনালী প্রজন্মে হয় তাঁর আবির্ভাব। তিনি ইসলামের পুনর্জাগরণকারী ছিলেন বলে মহিউদ্দিন নামে খ্যাতি লাভ করেন।

তিনি আরো বলেন, বায়তুশ শরফ এর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শাহ মাওলানা মীর আখতার ছিলেন বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানীর বংশধর। কক্সবাজার বায়তুশ শরফের রূপকার ছিলেন হাদিয়ে জামান শাহসূফি মরহুম আব্দুল জব্বার ও মরহুম পীর সাহেব বায়তুশ শরফ বাহারুল উলুম আল্লামা কুতুবউদ্দিন এর পরিচালনায় বায়তুশ শরফ আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। ধর্মীয় ও মানবতার সেবায় নিয়োজিত বায়তুশ শরফকে আধুনিক রূপে সাজাতে ও খেদমত আন্জাম দিতে চাই। এতে আপনাদের ঐকান্তিক দোয়া ও সহযোগিতা চাই।

মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব) ফোরকান আহমদ বলেন, বায়তুশ শরফ একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা, চিকিৎসা, ও ধর্মীয় এবং মানব সেবায় বায়তুশ শরফ সত্যিই অনন্য। এখানে আসলে মন জুড়িয়ে যায়। তিনি বলেন, তিনি ও প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফ এর সাথে আছেন।

বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ এর মহাপরিচালক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মজলিসুল উলামার মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, প্রিন্সপ্যাল মাওলানা সলিমুল্লাহ, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা নুরুল আলম ফারুকী, ড. মাওলানা মহিউদ্দিন মাহী, ড. মাওলানা অলিউল্লাহ মুঈন, মাওলানা লোকমান জিহাদী, মাওলানা কাজী জাপর আহমদ, মাওলানা কাজী শিহাব উদ্দিন, মাওলানা শফিক আহমদ নঈমী, মাওলানা আবুল কালাম আযাদসহ দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।

মাওলানা ওমর ফারুকের পরিচালানায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা নজরুল ইসলাম। মাহফিলে বাদ মাগরিব জিকির মাহফিল, এর আগে দুপুরে খতমে বুখারী ও ইছালে ছওয়াব অনুষ্ঠিত হয়। শেষ রাতে নামাজ তাহাজ্জুদ ও ১৭ নভেম্বর বাদ ফজর মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। অনুষ্ঠানে ১২ জন হাফেজে কুরআনকে দস্তারে ফজিলত পড়ানো হয়।

এই মাহফিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে হাজার হাজার দ্বীনদার মুসলমানরা অংশ গ্রহণ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইছালে ছওয়াব মাহফিল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ