বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একুশে পদকপ্রাপ্ত নন্দিত কথাসাহিত্যিক, অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার রাত নয়টায় রাজশাহী শহরে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পাশাপাশি হাসান আজিজুল হক লেখালেখি করে গেছেন। তিনি একাধারে গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখেছেন। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
প্রখ্যাত এই কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুতে ইতোমধ্যেই প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজিজুল হকের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাঁর স্মরণে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন কথা লিখেছেন নেটিজেনরা।
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘হাসান আজিজুল হক স্যারের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকাহত হয়ে আছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ লিখেছেন, ‘হাসান আজিজুল হক নেই! এর চেয়ে বেশি আর কিছুই ভাবতে পারছি না। বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের জন্যে এই ক্ষতি অপূরণীয় বললে সবটা বলা হয় না। কিন্ত শেষ বিচারে ভাষা খুব সীমাবদ্ধ - আমাদের সব অনুভূতি, আমাদের সব কথা ধারণ করতে পারে না। যে কোন লেখক যেভাবে বেঁচে থাকেন হাসান ভাইও সেইভাবেই আমাদের মধ্যে থাকবেন - তাঁর লেখার মধ্যে। যে কথাটা নিঃসংশয়ে বলতে পারি - বাংলা কথাসাহিত্যের ইতিহাস হাসান আজিজুল হককে বাদ দিয়ে লেখা যাবে না।’
সাংবাদিক নওশাদ জামিল লিখেছেন, ‘সত্যি কথা কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে, ততদিন বেঁচে থাকবেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা, স্যার।’
শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়ে আলআমিন রহমান লিখেছেন, ‘আগুনপাখি, আত্মজা ও একটি করবী গাছ, জীবন ঘষে আগুন-এর লেখক একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক, সবসময় প্রগতিশীল আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণা হাসান আজিজুল হক স্যারের প্রয়াণে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা।’
মারিনা নাসরিন লিখেছেন, ‘বাংলা সাহিত্যের অনন্য কারিগর হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন তিনি। অনন্তলোকে শান্তিতে থাকুন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।’
দোয়া প্রার্থনা করে কাজী সাইফ উদ্দিন লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন। ইয়া আল্লাহ, উনাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান করে নিন ও পরিবারবর্গের উপর শান্তি বর্ষণ করুন, আমীন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।