বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইসলামী আন্দোলন বাংলদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার জন্য একটি মহল নতুন করে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মতো একটি মীমাংসিত ইস্যুতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চক্রান্তকারীরাই স্বাধীনতাবিরোধী। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ঐ মহলটি কিছুদিন পর পর একটু নাড়া দিয়ে দেখে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে? রাষ্ট্রধর্ম ইস্যুটি ২০১৬ সালে আদালত মীমাংসা করে দিয়েছে। তাই এই বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক তোলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রীর বক্তব্য ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উন্নয়নের জন্য বড় বাধা’ এধরণের বক্তব্য সংবিধান পরিপন্থী। মন্ত্রী হয়ে একটি মীমাংসিত বিষয়ে তিনি বক্তব্য কিভাবে দেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আল্লামা মকবুল হোসাইন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া। মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, যারাই ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, তারাই এক সময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল নিয়ে চক্রান্ত বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, একটি দেশে অনেক ধর্মের বসবাস থাকতে পারে। দেশের জনগণ একাধিক ধর্মবিশ্বাসী হতে পারে। কিন্তু প্রতি দেশের নির্দিষ্ট একটি ধর্ম থাকে। যে ধর্মবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে টিকে থাকে দেশ। নির্ধারিত হয় সে দেশের জনগণের পরিচয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। যা দেশের সংবিধানেও লিপিবদ্ধ করা আছে।
মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র করতে হবে, তাতেই সংখ্যালঘুদেরও পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা থাকবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চক্রান্তকারীরা দেশের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। সরকার যদি চক্রান্তকারীদের সমর্থন করে তাহলে তার পরিণাম শুভ হবেনা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে অর্থনৈতিক শোষণ-বৈষম্য ও জুলম-নির্যাতন থেকে মুক্তিলাভের জন্য। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য নয়। সুতরাং ইসলামবিরোধী যেকোন চক্রান্ত রুখে দাঁড়াতে জনগণ পিছপা হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।