নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া, প্রবীণ মহিলা ক্রিকেটার মিতালি রাজ এবং ইতিহাস সৃষ্টিকারী প্যারালিম্পিক তারকারা শনিবার ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দের কাছ থেকে ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান - মেজর ধ্যানচাঁদ খেল রত্ন লাভ করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১২ জন সেরা ক্রীড়াবিদকে খেল রত্ন ও ৩৫ জনকে অর্জুন পুরস্কার ও সম্মাননা দেয়া হয়।–নিউজ১৮
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে, প্রেসিডেন্ট দেশের সেরা অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি দিয়েছেন। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আগের বছর ইভেন্টটি অনলাইনে হয়। সন্ধ্যার তারকা আকর্ষণ ছিলেন চোপড়া, যিনি বিশেষভাবে সংগঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত নির্বাচিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে করতালির মধ্যে তার খেলরত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন। খেলারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে চোপড়াই প্রথম এই সম্মান পেয়েছিলেন। ২৩ বছর বয়সী এই তারকা ছাড়াও খেলরত্ন স্বীকৃতির অন্যান্যরা হলেন অলিম্পিক ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় পুরুষ হকি দলের অধিনায়ক মনপ্রীত সিং, প্রবীণ গোলরক্ষক পিআর শ্রীজেশ, অলিম্পিক রৌপ্য-পদক বিজয়ী কুস্তিগীর রবি দাহিয়া, অলিম্পিক ব্রোঞ্জ লোভিনিং লোভিনিং এবং মিতালি।
এদিকে সুনীল ছেত্রী প্রথম ফুটবলার, যিনি এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক গোল করার ক্ষেত্রে লিওনেল মেসির মতো তাল মিলিয়ে চলার জন্য এটি তার প্রাপ্য স্বীকৃতি বলে জানান আয়োজকরা। প্যারালিম্পিক স্বর্ণজয়ী অবনী লেখারা (শ্যুটিং), সুমিত আন্তিল (অ্যাথলেটিক্স), প্রমোদ ভগত (ব্যাডমিন্টন), কৃষ্ণ নগর (ব্যাডমিন্টন), মনীশ নারওয়াল (শ্যুটিং) কেও খেলারত্ন দেওয়া হয়।
১২টি খেলরত্ন সহ ভারতে এবছর ৩৫ জন অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন৷ এই বছরের দীর্ঘ তালিকাটি অলিম্পিকে ৭ এবং প্যারালিম্পিকে ১৯টি ঐতিহাসিক পদক জয়ের ফল।
হকি কিংবদন্তি মেজর ধ্যান চন্দের জন্মবার্ষিকী স্মরণে প্রতি বছর ২৯শে আগস্ট এই অনুষ্ঠানটি ঐতিহ্যগতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। খেলরত্ন পুরস্কারে রয়েছে ২৫ লাখ টাকার নগদ পুরস্কার, একটি পদক ও একটি সম্মাননা ক্রেস্ট। অর্জুন পুরস্কারে ১৫ লাখ টাকা, একটি ব্রোঞ্জ মূর্তি এবং একটি সম্মাননা স্ক্রোল রয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং তার পূর্বসূরি কিরেন রিজিজু সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।