Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চাঞ্চল্যকর মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় আজ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৩৫ এএম

জনপ্রিয় বাংলাদেশি মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যার ১৯ বছর পর আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী মামলার রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে ২৬ অক্টোবর মামলাটির রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল, কিন্তু সেদিন রায়ের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। মামলার একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টি সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি। যিনি বিদেশে পলাতক রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ভোলানাথ দত্ত বলেন, আশা করছি রায়ে আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হবে। এর আগেও কয়েক দফা পেছানো হয় আলোচিত এ হত্যা মামলার রায়।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি (২৪) খুন হন। বুড়িগঙ্গার চীন-মৈত্রী সেতুর নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। একই বছরের ১১ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, সাবেক ছাত্রনেতা অভি ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ চাপা দিতে তিন্নিকে খুন করেন এবং লাশ ওই সেতুর নিচে ফেলে রাখেন। অভিকে ধরার জন্য ২০০৭ সালে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি হয়েছিল, কিন্তু তাকে দেশে ফেরানো যায়নি। ১৯৯২ সালে রমনা থানায় দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল অভির। ওই মামলার রায়ের পর হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে কানাডা চলে যান তিনি। অভি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে ধরা সম্ভব হয়নি।

মামলাটির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু হওয়ায় আইন অনুযায়ী অভির পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে একজন আইনজীবী নিযুক্ত করা হয়। মামলায় তিন্নির দুই গৃহকর্মীর সাক্ষী হিসাব ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। মামলায় ২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত। এরপর পলাতক অভি এই মামলা সংক্রান্তে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা করলে বিচার দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। পরে হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দিলে মামলার বিচার আবার শুরু হয়। আদালত এ মামলার বিচারকালে চার্জশিটভূক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এবার রায় ঘোষণার পালা। আপাতত সেদিকে তাকিয়ে তিন্নির পরিবার।

উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে ঢাকায় জন্ম তিন্নির। ২০০১ এ লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার আয়োজনে প্রথম রানার্স আপ হওয়ার মাধ্যমে মিডিয়াতে পা ফেলেন তিনি। প্রথমে ‘হেনোলাক্স স্পট ক্রীম’-এর বিজ্ঞাপন করে মডেল হিসেবে আলোচনায় আসেন তিন্নি। এরপর মডেলিংয়ের পাশাপাশি নাটক ও টেলিফিল্মে কাজ শুরু করেন। মোহন খানের পরিচালনায় ‘মেঘবতী’ তাঁর প্রথম নাটক। পরে চুক্তিবদ্ধ হন তিনটি সিনেমায়। যদিও কোনোটার কাজই শেষ করতে পারেননি তিন্নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ