বৃষ্টি ও ভারী বাতাসের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ভাল ফল করেছেন বাংলাদেশের আরচাররা। রোববার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে রিকার্ভ পুরুষ একক ইভেন্টের বাছাইয়ে স্বাগতিকদের সেরা আরচ্যার রোমান সানা ৬৬৫ পয়েন্ট স্কোর করে নবম হয়েছেন। তিনি ৩৯ জন আরচ্যারের মধ্যে নবমস্থান পেলেও তার সমান স্কোর করে দশম হয়েছেন রামকৃষ্ণ সাহা। আরেক আরচ্যার হাকিম আহমেদ রুবেল ৬৬৬ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছেন অষ্টম। তবে রাউন্ডে প্রথম চারটি স্থানই পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার আরচ্যাররা। পরের তিনটিতে ভারত। এর পরের তিনটি স্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। সিউনগিউন লি ও পিল জুং কিম সমান ৬৮০ পয়েন্ট স্কোর করেছেন। তবে প্রথমস্থানে রয়েছেন সিউনগিউন আর দুইয়ে জুং কিম। এক পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে উ টাক হান।

রিকার্ভ নারী একক ইভেন্টের বাছাইয়ে স্বাগতিক দলের দিয়া সিদ্দিকী ৬৩৭ স্কোর করে ১২তম, নাসরিন আক্তার ৬২৯ স্কোর করে ১৫তম, বিউটি রায় ৬২১ স্কোর করে ১৭তম এবং শ্রাবনী আক্তার ৫৯৯ স্কোর করে ২৩তম হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রিউ সু জং ৬৮৭ স্কোর করে প্রথম, ওহ ইয়েজিন ৬৮১ স্কোর করে দ্বিতীয় এবং লিম হেজিন ৬৭৭ স্কোর করে তৃতীয় হয়েছেন।

এদিকে কম্পাউন্ড পুরুষ একক ইভেন্টে বাংলাদেশের নেওয়াজ আহমেদ রাকিব ৭০০ স্কোর করে নবম, মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ৬৯৯ স্কোর করে ১১তম, মো. সোহেল রানা ৬৯৮ স্কোর করে ১৪তম এবং অসীম কুমার দাস ৬৯০ স্কোর করে ২১তম হয়েছেন। বিদেশিদের মধ্যে কোরিয়ার চৈ ইয়ংহি ৭১৬ স্কোর করে প্রথম, কিম জংহো ৭০৯ স্কোর করে দ্বিতীয় এবং ভারতের যাদভ ৭০৮ স্কোরে তৃতীয় হন। কম্পাউন্ড নারী একক ইভেন্টে বাংলাদেশের শ্যামলী রায় ৬৭২ স্কোর করে ১৪তম, সুমা বিশ্বাস ৬৬২ স্কোর করে ১৯তম ও বন্যা আক্তার ৬৫৩ স্কোর করে ২৩তম স্থান পান। এই ইভেন্টে দক্ষিণ কোরিয়ার কিম ইউন হি ৭০৮ স্কোর করে প্রথম, সং ইউন ছু ৭০৪ স্কোর করে দ্বিতীয় এবং ওহ ইউহিউন ৭০৩ স্কোরে তৃতীয়স্থান পান। এছাড়া কম্পাউন্ড পুরুষ দলগত ইভেন্টে ২০৯৭ স্কোর করে চতুর্থ, কম্পাউন্ড নারী দলগত ইভেন্টে ১৯৮৭ স্কোর করে ষষ্ঠ এবং কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে ১৩৭২ স্কোর করে পঞ্চম হয় বাংলাদেশ।