বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হতে আর মাত্র এক বছরের মত বাকি আছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে হবে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের নতুন প্রতিযোগিতা।
এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ছয়টি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করেছে কাতার। আর দুটি পুরাতন স্টেডিয়ামে চালিয়েছে ব্যপক সংস্কার কার্য। বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম প্রস্তুত করার জন্য কয়েক লাখ শ্রমিক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নেয় মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধনী দেশটি। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক গেছেন কাতারে। এখন স্টেডিয়াম বানানোর কাজ প্রায় শেষ, চলছে শেষ দিকের ঘষামাজা।
তবে যে শ্রমিকরা কষ্ট করে স্টেডিয়ামগুলো তৈরী করেছেন, সেই শ্রমিকদেরই বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে কাতার ছাড়তে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। যেন বিশ্বকাপের সময় আসা দর্শকদের চোখে না পরেন এই শ্রমিকরা!
অথচ কাতার এ বিশ্বকাপকে উপলক্ষ করে মরুভুমিতে হোটেল বানিয়েছে, দুটি বিশাল জাহাজ ভাড়া করেছে। সব মিলিয়ে এলাহী কান্ড। কিন্তু শ্রমিকদের তারা চলে যেতে বলেছে বিশ্বকাপের আগে আগে।
ডেইলি মেইল তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে সব মিলিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের তারা পাঁচ মাসের জন্য কাতার ছাড়তে বলেছে। তবে যারা মালি ও স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত আছে তাদের থাকতে দিবে।
আর কাতারী কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশনার পর চিন্তায় পরে গেছেন অনেক শ্রমিক। ডেইলি মেইলের সঙ্গে বেশ কয়েকজন ভারতীয় শ্রমিক জানান তারা তাদের দেশ থেক জমি বিক্রি করো বা ঋণ নিয়ে কাতারে কাজের অনুমতিপত্র নিয়েছেন। এখন তাদের যদি জোর করে বিনা বেতনে পাঁচ মাসের ছুটিতে পাঠানো হয় তাহলে অসুবিধায় পরে যাবেন। তবে তাদের সবচেয়ে বড় ভয়টি হলো আবার তারা কাতারে ফিরতে পারবেন কি না?