Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে বেহাত হচ্ছে কৃষি বিভাগের কোটি টাকার সম্পত্তি

প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এএফএম ফারুক চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে

ছাতকের সাবেক ১২টি ইউনিয়নে কৃষি উন্নয়ন বিভাগের অর্থায়নে নির্মিত বীজাগারসহ কোটি টাকার ভূমি এখন সংশ্লিষ্ট বিভাগের হাত ছাড়া হতে চলেছে। এসব বীজাগারগুলো সরকারি উদ্যোগে মেরামত ও সংস্কার করে উপ-সহকারি কৃষি অফিসারের (সাবেক ব্লক সুপারভাইজার) কার্যালয়ে রূপান্তর করলে জনসাধারণের দোরগোড়ায় সেবাসহ কৃষি ক্ষেত্রে অর্জিত হবে অভাবিত সাফল্য এমন ধারণাই অভিজ্ঞমহলের। জানা যায়, ১৯৬১ সালে কৃষকদের কৃষি ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার প্রতি ইউনিয়নে একটি করে বীজাগার নির্মাণ করে। এসময় ছাতকের সাবেক ১২টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬ একর ভূমি খরিদ করে বীজাগার নির্মাণ করা হয়। এসব ভূমি রেজিস্ট্র্রি কবলামূলে তৎকালীন কৃষি উন্নয়ন বিভাগের মহকুমা কৃষি অফিসার বিআর নিজামীর নামে খরিদ করা হয়। পরবর্তীতে নির্মিত বীজাগারগুলোয় সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়লে প্রায় ৩ যুগ থেকে ভবনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সুযোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্মিত বীজাগারগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগের হাত ছাড়া হয়ে গেছে। জানা গেছে, সাবেক খুরমা ইউনিয়নের চেচানবাজারে ১১একর ভূমি সহ বীজাগার, ছৈলা-আফজালাবাদ ইউপি, কালারুকা ইউপি, দেওকাপন ইউপি, ইসলামপুর ইউপি, জাউয়াবাজার ইউপি ও সৈদেরগাঁও ইউপি সংলগ্ন বীজাগার পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। ছাতক সদর ইউনিয়নে নির্মিত বীজাগার ১৯৭৩সালে সিলেট পাল্প এন্ড পেপার মিলের ভেতরে পড়ায় সেসময়ে এটি ভেঙে দেয়া হয়। একইভাবে দোলারবাজার ইউপি’র বীজাগার নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া সিংচাপইড় ইউপি’র আইনাকান্দি গ্রামে, ভাতগাঁও ইউপি’র হায়দরপুর গ্রামে ও নোয়ারাই ইউপি’র বেতুরা গ্রামের বীজাগার এখন জবরদখলে চলে গেছে। এসব পরিত্যক্ত বীজাগারগুলো দখলমুক্ত ও সংস্কার করা হলে ইউনিয়ন ভিত্তিক বীজ ও সেচ সহ কৃষি যন্ত্রপাতি সংরক্ষণ করা সহজ হবে। এতে করে ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হবে এবং ইউনিয়ন কৃষি সুপারভাইজারদের ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। উপজেলার প্রায় ১৬ একর বীজাগারের জন্যে ক্রয়কৃত ভূমি দখলমুক্ত করে ভূমির উপর কোয়ার্টার নির্মাণ করে ইউনিয়ন কৃষি সুপাভাইজারদের বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাতকে বেহাত হচ্ছে কৃষি বিভাগের কোটি টাকার সম্পত্তি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ