বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মৌসুমী পাখীদের কপাল পুড়লো সিলেটে। এবার স্থানীয় নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন তারা। তদবির ্ও অর্থ জোরে নির্বাচনী বৈতরনী বিগত দিনে পার হলেও এবার হালে পানি ঠেকেনি। দেশের রাজনীততে তাদের অবস্থান বা অবদান তেমন না থাকলেও প্রবাসে নানা পদ বাগিয়ে নেন সিলেটিরা। সেই সাথে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিকরা প্রবাসে গেলে আদর আপ্যায়নে-উপহার দিয়ে একটি যোগসূত্র গড়ে তোলেন প্রবাসীরা। সেই সাথে ফটোসেশনে তাদের অবস্থান থাকে অগ্রনি। সেই যোগসূত্রে নির্বাচন এলে সুদূর প্রবাস থেকে উড়ে এসে বাগিয়ে নেন দলীয় মনোনয়ন তারা। কেউ কেউ দলীয় প্রতীকের জোরে হয়ে যান জনপ্রতিনিধিও। সিলেটের রাজনীতি ও নির্বাচনে দীর্ঘদিন ধরেই এমন প্রভাব চলে আসছে প্রবাসীদের। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও প্রার্থী হতে দাপট দেখান কয়েকজন প্রবাসী। স্থানীয় তৃণমুল নেতাদের টেক্কা দিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নেন তারা। কেউ কেউ আবার প্রার্থী হন স্বতন্ত্রের ব্যানারে। তবে নির্বাচনে সুবিধা করতে পারেননি তাদের বেশিরভাগই। প্রবাসী প্রার্থীদের ৮ জনের মধ্যে ৬ জনই হেরে গেছেন। দ্বিতীয় ধাপে গতকাল বৃহস্পতিবার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে সিলেট জেলার ১৫টি ইউনিয়নও ছিল। এর মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নে আটজন প্রবাসী চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। তিনজন প্রার্থী হন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে। এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে দুজন এবং মোগলগাঁও ইউনিয়নে একজন, বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নে তিনজন, পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে একজন ও দেওয়ানবাজার ইউনিয়নে একজন প্রবাসী ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
প্রবাসীদের মধ্যে জালালাবাদ ইউনিয়নে ফ্রান্স প্রবাসী জয়নাল আবেদীন ও বাহরাইন প্রবাসী সমছুল হক স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান পদে করেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সমছুল বাহরাইন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত তিনি। এ দুজনের কেউই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। জালালাবাদে আওয়মাী লীগের ওবায়দুল্লাহ ইসহাক জয়ী হয়েছেন। সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হিরণ মিয়া এবারও প্রার্থী ছিলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী হিরণ মিয়া আগের বারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। এবারও জয়ী হয়েছেন তিনি। বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান মো. আমিররুল ইসলাম যুক্তরাজ্য প্রবাসী। দেশটিতে আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন তিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে থাকা আমিরুল গেল নির্বাচনের মতো এবারও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন তিনি। তবে নির্বাচনে জয় লাভে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এ ইউনিয়নে আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসী মহিবুল রহমানও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন চেয়ারম্যান পদে। তবে ইতালি প্রবাসী আবদুর রহমান মাখন চেয়ারম্যান পদে জয় ঘরে তুলে নিয়েছেন। বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে গেল নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. আবদুল মতিন। কিন্তু এবার তাকে মনোনয়ন দেয়নি দল। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও সরে দাঁড়াননি নির্বাচন থেকে তিনি। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছেন তিনি। কিন্তু এবার আর জয়ী হওয়া হয়নি তার। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শিহাব উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। বালাগঞ্জের দেওয়ানবাজার ইউনিয়নে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ছহুল এ মুনিম দলীয় মনোনয়নে এবার চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন। কিন্তু হেরে গেছেন তিনিও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।