নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তান : ২০ ওভারে ১৭৬/৪
অস্ট্রেলিয়া : ১৯ ওভারে ১৭৭/৫
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী
রূপকথার গল্পেরও শেষ আছে। একটা সময় গল্পের নটে গাছটি মুড়োয়। উড়তে থাকা পাকিস্তান ক্রিকেটের রূপকথাও এবার ফুরাল! এই বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে শুরু। এরপর প্রতিটা ম্যাচেই ছিল এগিয়ে চলার গল্প। গতকাল সেমিফাইনালে অপ্রতিরোধ্য বাবর আজমের দলকে থামিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আরেকটি জয়ের গল্প লিখে ২০০৯ সালের পর ফের ফাইনালে যাওয়া হলো না পাকিস্তানের। শেষটাতে এসে মার্কাস স্টয়নিস আর ম্যাথু ওয়েডের বীরত্বে ফাইনালে অজিরা। সেটাও কি না এক ওভার আগেই পাওয়া জয়ে।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামটা তো তাদের হোম গ্রাউন্ডই। গ্যালারি ভর্তি হাজারো দর্শক। তাদের উচ্ছ্ব্াসের স্রোত লাহোর-করাচি পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছিলেন রিজওয়ান-শাহীন শাহ আফ্রিদিরা। কিন্তু শেষটাতে এসে তাদের সর্বনাশ। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া পেয়ে গেল আইসিসি টি-টোয়েন্টি ফাইনালের টিকিট। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। ১৪ নভেম্বর শিরোপার লড়াইয়ে এই দুবাইয়ের মাঠেই মুখোমুখি হবে তাসমান সাগর পাড়ের দুই দেশ।
অথচ মনে হচ্ছিল সহজেই জিতবে পাকিস্তান। কিন্তু সমীকরণ মেলাতে পারেনি তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তন প্রথমে তুলে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে করে ১৭৬ রান। জবাবে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ ওভারের আগেই মেতে উঠে জয়ের আনন্দে!
১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়েডের তোলা ক্যাচটি মাটিতে ফেলে দিলেন হাসান আলী। ওটা ক্যাচ নয়, ম্যাচটাই মাটিতে ফেলেছে পাকিস্তান। জীবন ফিরে পাওয়ার পরের তিন বলে তিন ছক্কা মেরে নিমেষেই পাকিস্তানের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিলেন ওয়েড। রোমাঞ্চে ভরপুর ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল অস্ট্রেলিয়া।
শুরুতেই উইকেট পড়লেও দলকে চাপে পড়তে দেননি আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। দ্বিতীয় উইকেটে মিচেল মার্শকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন তিনি। ব্যক্তিগত ২৮ রানে ফেরেন মার্শ। এরপর ৫ রানে ফেরেন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ।
এরপরও আপনতালে ব্যাট করতে থাকেন ওয়ার্নার। কিন্তু শাদাব খানের করা বলে কটবিহাইন্ড হন ওয়ার্নার। ৩০ বলে ৪৯ রান করেন ওয়ার্নার। এরপর ব্যক্তিগত ৭ রানে ফেরেন ম্যাক্সওয়েলও। প্রথম পাঁচ উইকেটের মধ্যে চারটিই নেন পাকিস্তানি স্পিনার শাদাব।
মাত্র ৯৬ রানে ৫ উইকেটে নিশ্চিত হারের মুখে থাকা অস্ট্রেলিয়া দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান মার্কাস স্টোনিস এবং ম্যাথু ওয়াইড। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেন অপ্রতিরোধ্য ৯৬ রানের জুটি। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন অজি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ওয়েড। মাত্র ১৭ বলে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। আর ৪০ রানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন মার্কাস স্টয়নিস।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাট করে যাচ্ছে পাকিস্তান দল। মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে বড় সংগ্রহের পথেই এগোচ্ছে পাকিস্তান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১ উইকেটে ৯৫ রান সংগ্রহ করেছে দলটি।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাট হাতে দুই পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে ৭১ রান। দশম ওভারের খেলায় অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বাবর। আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে করেন ৩৯ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামেন ফখর জামান। তাকে নিয়ে ৭২ রানের জুটি গড়েন ওপেনার রিজওয়ান। এরই মধ্যে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। আর আউট হওয়ার আগে করেন ৬৭ রান। ৫২ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ৩টি চার এবং ৪টি ছয়ে সাজানো।
তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে কোনো রান করতে পারেননি পাকিস্তান দলের হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান আসিফ আলি। প্যাট কামিন্সের করা বলে স্মিথের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এদিকে শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন ফখর জামান। মিচেল স্টার্কের কলা শেষ ওভারের চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে টানা দুই ছয় মেরে নিজের ফিফটিও করেন জামান। অপরাজিত থাকেন ৫৬ রান। মাত্র ৩২ বলে খেলা ইনিংসটি ৩টি চার এবং ৪টি ছয়ে সাজানো। আর ১ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ হাফিজ। অজিদের হয়ে মিচেল স্টার্ক সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার অ্যাডাম জাম্পা ও প্যাট কামিন্সের। মাত্র ১৭ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ম্যাথু ওয়েড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।