আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে চরম উত্তেজনাকর ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটির বেশিরভাগ সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রন পাকিম্তানের হাতে থাকলেও শেষ দিকে গিয়ে ফিল্ডিং ও বোলারদের ব্যর্থতায় হেরেছে বাবর আজমের দল। ২০১০ সালেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেের সেমিতে আরেকবার খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান। সেবারও জয়ের কাছে থেকেও অজিদের বিপক্ষে হারের তীক্ত স্বাদ পেতে হয়েছিল। এবারো তার পুনরাবৃত্তি করল অজিরা। আর হতাশায় ডুবল পাকিস্তান। আজকের ম্যাচটিসহ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নক আউট পর্বে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। কিন্তু পাঁচটিতেই হারের স্বাদ পেতে হলো তাদের। এখন আগামী ১৪ নভেম্বর দুবাইয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ও ১ ওভার হাতে রেখে লক্ষে পৌছে যায় অজিরা। ম্যাচটির শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। সেই রান ম্যাথু ওয়েড ও মার্কাস স্টোনিস মিলে করে ফেলেন। ম্যাচের শেষ দুই ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। এ ওভারটি করতে আসেন শাহিন আফ্রিদি। তার করা দ্বিতীয় বলে ক্যাচ তুলে দেন ম্যাথু ওয়েড। কিন্তু সেই ক্যাচ ছেড়ে দেন হাসান আলী। এরপরই পর পর তিন বলে তিনটি ছক্কা মেরে দেন ওয়েড। তিনি শেষ পর্যন্ত ১৭ বল খেলে ৪১ রান করেন।
ম্যাচটিতে পাকিস্তানের হয়ে ২৬ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নিয়েছেন স্পিনার সাদাব খান। এর মাধ্যমে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোন সেমিফাইনালে সবচেয়ে কম রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি । বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যা সবচেয়ে সেরা বোলিং।
তিনি ৪৯ রানে ডেভিড ওয়ার্নার, ২৮ রানে মিচেল মার্শ, ৫ রানে স্টিভ স্মিথ ও ৭ রানে গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৭ রান করেছে পাকিস্তান। ম্যাচটিতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেছেন ফখর জামান। এর মাধ্যমে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি।
ম্যাচের পুরোটা সময় পাকিস্তজনের ব্যাটসম্যানরাই প্রভাব দেখিয়েছেন। দুই ওপেনার রিজওয়ান ও বাবর ৭১ রানের পার্টনারশিপ এনে দেন। এ সময় ৩৯ রান করে জাম্পার বলে ফেরেন বাবর। এরপর রিজওয়ান ও ফখর মিলে রানের চাকা সচল রাখেন। দলীয় ১৪৩ রানের সময় ফেরেন রিজওয়ান। এরপর আসিফ আলী ০ ও ১ রানে ফিরলেও ফখর এর প্রভাব পরতে দেননি।