টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ পরার পর একটা আলোচনা হচ্ছিল, আবার কি ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো দেখা যাবে আরেকটি উত্তেজনাকর ম্যাচের? বেশিরভাগই বলেছিলেন হতেও পারে এমন আরেকটি ম্যাচ। হয়েছেও তা। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি যেন হয়েছে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মতোই। ২০১৯ সালে শেষ হাসিটা ইংলিশরা হাসলেও এবার শেষ হাসিটা হেসেছে নিউজিল্যান্ড। শেষ মূহুর্তের ঝড়ে তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তুলে নিয়েছে অসাধারণ এক জয়। এরমাধ্যমে আইসিসির শেষ তিনটি প্রতিযোগিতার সবগুলোর ফাইনালে ও প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে কিউইরা।
ফাইনালে যাওয়ার ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষে পৌছে যায়।
অবশ্য এই রান তাড়া করতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা এগিয়েছেন মন্থর গতিতে। ম্যাচের ১৬ তম ওভার পর্যন্ত ১১০ রান করে। তখন তাদের প্রয়োজন ছিল ৫৭ রান। কিন্তু ম্যাচের ১৭ ওভার করতে আসা ক্রিস জর্ডানের ওভারে ২৩ রান নেন জিমি নিশাম। এতেই ঘুরে যায় ম্যাচের ভাগ্য। এরপর ১৮তম ওভারে আদিল রশিদ দেন ১৪ রান। শেষ দুই ওভারে তখন কিউিদের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। আদিল রশিদের শেষ বলে নিশাম আউট হলেও ডারইয়াল মিচেল বাকি কাজটা সারেন। তিনি ৪৭ বল খেলে ৭২ রান কর অপরাজিত থাকেন এবং খেলা শেষ করে দেন ৭ বল বাকি থাকতেই।
এর আগে ইংলিশ বোলারদের তোপে পরে ধীর গতিতে ব্যাট করতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। নিজেদের ইনিংসে প্রথম দশ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তারা করতে পারে মাত্র ৫৮ রান। তাদের দুই সেরা খেলোয়াড় ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন যথাক্রমে ৪ ও ৫ রান করে ফেরেন। এরপর কিউইদের উপর চাপ আরো বাড়ে। কিন্ত ডেভন কনওয়ে, জিমি নিশাম ও মিচেল মিলে অসাধ্য সাধন করেন।
এদিকে এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬৬ রান করেছে ইংল্যান্ড। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে হাফসেঞ্চুরি করেছেন মঈন আলী। তিনি ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ম্যাচটিতে প্রথম দশ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৭ রান করতে পারে ইংল্যান্ড। এরপরের দশ ওভারে তারা করে ৯৯ রান।
শেষ দশ ওভারে মূলত মঈন আলী ও লিভিংস্টোনের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সমর্থ হয় তারা।
এর আগে দলীয় ৩৭ রানের সময় ১৩ রান করে বেয়ারেস্টো মিলনের বলে আউট হন। এরপর ৫৩ রানের সময় ইশ সোদির বলে ২৯ রান করে ফেরেন ডেঞ্জারাস ব্যাটসম্যান জস বাটলার। এরপর অবশ্য দলের হাল ধরেন মঈন আলী ডেভিড মালান। দলীয় ১১৬ রানের সময় ৪১ রান করে টিম সাউদির বলে ফেরেন মালান। এরপর ক্রিজে এসে লিভিংস্টোন মঈনের সঙ্গে আরেকটি পার্টনারশিপ গড়েন। ১৯তম ওভারে তিনি ১৭ রান করে নিশামের বলে ধরা পরেন।