পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার হটানোর আন্দোলনে নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিতে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, কোনো আন্দোলনে জনগণ প্রথম নামে না। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নামতে হয়। সকল আন্দোলনে অতীতের প্রমাণ হচ্ছে যে, ছাত্র-যুব-শ্রমিক তারা ভ্যানগার্ড হিসেবে সামনে থাকে, তারপরে রাজনৈতিক দলগুলো থাকে, তারপরে জনগণ নামে। সেই দিন কোনো স্বৈরাচার কোনো ফ্যাসিস্ট পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায় তারা টিকতে পারেনি। পাকিস্তানের সময় আইয়ুব খান টিকে নাই, বাংলাদেশে হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদও টিকে নাই। গতকাল বুধবার সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ’৯০ এর ডাকুস ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’র উদ্যোগে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নুর হোসেন ৩৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, শ্লোগানের চেয়ে রাস্তায় নামার জন্য আমাদেরকে তৈরি হতে হবে। সরকার তাদের নিজেদের ভারে নিজেরা ন্যুজ। অতএব সময় সামনে বেশি দূরে নয় যখন জনগণকে নিয়ে একটি ধাক্কা দেয়ার প্রয়োজন। সেই ধাক্কা দেয়ার জন্য, রাস্তায় নামার জন্য আমি আপনাদের সকলকে প্রস্তুতি গ্রহন করার আহবান জানাচ্ছি।
নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে গণতন্ত্রের বিজয়ের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে যারা হটিয়েছে তারা এই টেবিলের (’৯০’র ছাত্রনেতারা) বীরেরা। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, আমাদের কৌশল আছে-সবই ঠিক আছে। আমাদের সকলকে সেই ঐক্য, কমিটমেন্ট নিতে হবে। অবশ্যই একদিন না একদিন এদেশের জনগণ রাস্তায় নামবে। সেই দিন আমার মনে হয় বেশি দূরে নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অনেকে বলেন, আমরা দাবি করব যে, আগামী নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে। তবে এটা শেখ হাসিনা কখনো দেবে, এটা কেউ বিশ্বাসও করে না। অতত্রব এই সরকারকে হটানোর জন্য আমাদের কাছে আন্দোলনের বিকল্প আর কিছু নেই। আন্দোলনটা কী অবস্থায় আছে? সরকার তো ফ্যাসিবাদী কায়দায় এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করবে। আমাদেরও ঠিক একইভাবে সাহস, ধৈর্য্য এবং কমিটমেন্ট নিয়ে যে যে অবস্থানে আছি, সেই অবস্থানে থেকে আগামী দিনে আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এটা বিএনপির বিষয় নয়, জনগণের স্বার্থ রক্ষার করার জন্য আমাদের এক হতে হবে এবং জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্র নেতা ফজলুল হক মিলনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান আসাদ, সাইফুদ্দিন মনি, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান শিমুল, আকরামুল হাসান, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।