নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তান ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দল, আর তাদের খেলোয়াড়রা ‘অধারাবাহিক’। বহু প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা থাকলেও হঠাৎ করে খেই হারিয়ে ফেলার মানসিকতা। এমন দলকে নিয়ে কতখানি আশা করা যায়! পাকিস্তানের দুর্বলতা বলতে এই তো। পাকিস্তান জিতবে কি হারবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। জেতা ম্যাচও তারা হেরে যেতে পারে, আবার খাদের কিনারা থেকেও ঘুরে দাঁড়িয়ে সাফল্য পেতে পারে। এক কথায় আনপ্রেডিক্টেবল একটা দল। কিন্তু এসব দুর্বলতা দ‚র করে পাকিস্তান যেন অন্যরূপে, মানে সর্বশক্তিমান আর একাট্টা একটি দল। যাদের নিয়ে এখন একটাই কথা বলা যায়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি তাদের হাতেই উঠছে।
ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তান আগমণী বার্তা দিয়েছিল সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে। শাহীন শাহ আফ্রিদির সে কী বোলিং। বিরাট কোহলির দল যেন পাত্তাই পায়নি। এই পেসারই দলের বোলিং আক্রমণে ম‚ল শক্তি। তাকে নিয়ে তো রীতিমতো ভাবতে শুরু করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেছেন, ‘শাহীন আফ্রিদির সঙ্গে গুরুত্বপ‚র্ণ লড়াই হবে।’
বাঁহাতি পেসার উইকেট নিয়েছেন প্রথম ম্যাচেই তিনটি। পরের চার ম্যাচে তিনটিতে একটি করে উইকেট পেয়েছেন। তাতে কী! দাঁড়িয়ে গেছেন অন্য বোলাররা। হারিস রউফ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা। এছাড়া আরেক পেসার হাসান আলী নিয়মিত উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে যাচ্ছেন। আর স্পিনে ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান পেসাররা ভালো না করলে তা পুষিয়ে দিচ্ছেন ঠিকই।
একই একাদশ নিয়ে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। প্রতিপক্ষের ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি এই বোলারদের বিরুদ্ধে। আগে বোলিং করলে পাকিস্তান প্রতিপক্ষের রানের লাগাম টেনে ধরছে। তারপর ব্যাটিং অর্ডারে মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজমদের দারুণ রূপ। পাঁচ ম্যাচে চারটি হাফ সেঞ্চুরি বাবরের। রিজওয়ান তার সঙ্গে দারুণ ছন্দে। ভারত ও নামিবিয়ার বিপক্ষে ৭৯ রানে অপরাজিত।
টপ অর্ডাররা যেদিন ব্যর্থ হচ্ছেন, সেদিন মিডল অর্ডারে আসিফ আলী ও শোয়েব মালিকের ব্যাট কথা বলছে। মালিক তো পাকিস্তানের হয়ে ১৮ বলে দ্রæততম টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি করলেন সেদিন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এই হলো পাকিস্তান, কারো একার ওপর নির্ভরশীল নয়। নিজেদের দিনে কেউ না কেউ দলের প্রয়োজনে বুক চিতিয়ে লড়াই করছেন, সেটা ব্যাট কিংবা বল হাতে। এই সাফল্যের রহস্য কী? বাবর বললেন, ‘দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ একতা। মাঠে একে অন্যকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। আর দলের মনোবলও তুঙ্গে। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিংয়ে সবাই নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যেখানে নিজেদের ওপর এত আত্মবিশ্বাস আর সৌহার্দ্য স¤প্রীতি, তাদের দুর্বলতা খুঁজে বের করা কঠিন বলা চলে। আর আমিরাত তো নিজেদের ঘর বললেও ভুল হবে। এবার ‘দ্বিতীয় ঘর’ থেকে ট্রফি নিয়েই বাড়ি ফেরার লক্ষ্যে পাকিস্তান, সেটার বাইরে আর কোনো চিন্তা নেই তাদের।
যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল, তাদের বিপক্ষে দুবাইয়ে সাত ম্যাচ খেলে পাঁচটিই জিতেছে পাকিস্তান। আরেকবার হারিয়ে তৃতীয় ফাইনালের মুখ দেখতে চায় বাবরের দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।