নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যাথু হেইডেনের আন্তর্জাতিক অভিষেক ১৯৯৩ সালে হলেও কখনো পাকিস্তান সফরে যাওয়া হয়নি তার। শেষবার ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়া যখন পাকিস্তান সফরে যায় সেই দলে ছিলেন না তিনি। এরপর হেইডেনের গোটা ক্যারিয়ারেই আর পাকিস্তান সফরে যায়নি অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের মাঠে কখনো খেলতে না পারায় তাই আক্ষেপ ঝরল বর্তমানে পাকিস্তানের এই ব্যাটিং কোচের।
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এক সময়ের আগ্রাসী অজি ওপেনারকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় পাকিস্তান। তার অধীনে দারুণ ছন্দে আছে পাক ব্যাটাররা। আজ হেইডেনের নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই সেমিফাইনালে লড়বে পাকিস্তান। এই ম্যাচের আগে গতকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসে উঠে অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন পাকিস্তান সফরের প্রসঙ্গ।
আগামী বছর মার্চে ২৪ বছর পর পাকিস্তান সফরের সূচি চ‚ড়ান্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সফরে পুরো শক্তির দল নিয়ে তারা যাবে কিনা সেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সূচি চ‚ড়ান্ত হওয়ার পর পরই অজি টেস্ট কাপ্তান টিম পেইন জানিয়ে দেন কয়েকজন ক্রিকেটার এই সফরে যেতে স্বচ্ছন্দ নাও হতে পারেন। এমন বাস্তবতার মাঝে হেইডেন তার দেশের ক্রিকেটারদের পাকিস্তান সফরে যেতে উৎসাহিত করলেন। সেইসঙ্গে নিজের কখনো পাকিস্তানে না খেলার আক্ষেপ ঝরালেন অকপটে, ‘বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে আমার পরামর্শ হবে পাকিস্তানের উইকেট আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য হবে ভীষণ ভালো, সেখানে খেলতে তাদের লাইন পড়ার কথা। আমি ভয়ঙ্করভাবে হতাশ যে পাকিস্তানের ওকরম ফ্লাট উইকেটে ক্যারিয়ারে কখনো খেলা হয়নি। পাকিস্তানের মানুষ ক্রিকেটটা ভালোবাসে। ভারতের পর সেখানে সবচেয়ে বড় ফ্যানবেইজ আছে। আমার মনে হয় পাকিস্তানে গিয়ে আতিথেয়তা নিতে পারে অস্ট্রেলিয়া, খেলাটাকে উপভোগ করতে পারে। ক্রিকেটীয় জায়গা থেকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কখনো পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে না পারা আমার জন্য আক্ষেপের বিষয়।’
হেইডেনের মতে পাকিস্তানের মাঠে চ্যালেঞ্জ সম্প‚র্ণ ভিন্নরকম। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে না পারা তার জন্য আক্ষেপের। এসব দিক থেকেও পাকিস্তানে ক্রিকেট নিয়মিত দেখতে চান তিনি, ‘সেখানে কিছু অন্যরকম চ্যালেঞ্জ আছে। আমাদের এখানকার প্রধান কোচ সাকলাইন (মুশতাক) তখন দারুণ স্পিনার, এছাড়া আরও ভালোমানের স্পিনার ছিল তাদের বিপক্ষে ওই কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো ছিল। ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে ওয়াকার, ওয়াসিম, শোয়েবের মতো পেসারদের তাদের নিজেদের দেশে সামলানো হতে পারত দারুণ ব্যাপার। সেসব দিক থেকে পাকিস্তানে না খেলা আমার জন্য আক্ষেপের। ক্রিকেট কমিউনিটির জন্য পাকিস্তানে ক্রিকেট নিয়মিত হওয়াটা গুরুত্বপ‚র্ণ। আমি নিশ্চিত তারা সবাই পাকিস্তান সফরের দিকে তাকিয়ে থাকবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।