Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘মরুভূমির ঘুড়ি’র সন্ধান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

সউদী আরবের মদিনা নগরীর পূর্বে হাইল অঞ্চলে হাজার বছর আগের আরও ‘মরুভূমির ঘুড়ি’র সন্ধান মিলেছে। সেখানে বালুতে লুকানো আরব উপদ্বীপের প্রাচীন মরুভূমি সভ্যতার নিদর্শনস্বরূপ এ মরুভূমির ঘুড়ি দেখা হচ্ছে।
মরুভূমির ঘুড়ি বলতে মূলত পাথরের বৃত্ত ও ত্রিকোণ আকৃতির কাঠামোকে বোঝানো হয়, যা ‘কাইট’ নামেও পরিচিত। প্রধানত পশ্চিমাঞ্চল হারাতের খাইবারে এগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে। বহুভুজ, ফানেল ও ত্রিভুজ আকৃতির কাঠামোগুলো হারাত খাইবার লাভা ক্ষেত্রগুলোর কাছে কেন্দ্রীভূত। ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ ও সপ্তম শতাব্দীর এই পাথরগুলো ‘নিওলিথিক’ যুগের। সউদী আরবের বিস্তীর্ণ মরুভূমির লুকানো সম্পদ এখনো অদৃশ্য এবং আবিষ্কারের অপেক্ষায় রয়েছে। সউদী আরবের কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ইতিহাসের অধ্যাপক সালমা হাওসাউই আরব নিউজকে বলেন, সউদী আরবে অসংখ্য পাথরের বৃত্ত, ঘুড়ি ও কাঠামো ছড়িয়ে রয়েছে। মদিনার উত্তরেও অনেক এলাকায় মরুভূমির ঘুড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দেশটির খাইবার, ফাদাক, আলউলা এলাকায়ও মরুভূমির ঘুড়ি দেখা গেছে। বড় বড় এসব মরুভূমির ঘুড়ি বৃত্ত, ত্রিভুজাকৃতি, ডিম্বাকৃতি, উত্থিত পাথর, পাথরের স্তূপ, বর্গাকার ও আর্কস আকৃতির হয়ে থাকে।

বিশ্বে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৮০০টির বেশি মরুভূমির ঘুড়ি পাওয়া গেছে। আর্মেনিয়া, সউদী আরব, জর্ডান ও কাজাখস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ঘুড়ির সন্ধান মিলে। সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৫০০টি মরুভূমির ঘুড়ি পাওয়া গেছে সিরিয়ায়। মরুভূমির এই ঘুড়িগুলো অত্যাধুনিক ও সুন্দর কাঠামোতে তৈরি। তবে ঠিক কী উদ্দেশে এগুলো তৈরি করা হয়েছে, সেটি জানা যায়নি। সূত্র : আরব নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ