বর্তমান বিশ্বে অন্যতম ভয়ানক স্ট্রাইকারের মধ্যে একজন হলেন মিশর ও লিভারপুলের ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ। এই মৌসুমেও দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ খেলে ১০টি গোল করেছেন তিনি।
বর্তমান সময়ে যে কজন ফিট ফুটবলার আছেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন সালাহ। কঠিন আবার সহজ খাদ্যনীতি ও ব্যায়ামের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ফিট রাখেন। ব্যায়ামের ক্ষেত্রে কোন বাহানাই চলে না তার কাছে। যেহেতু তিনি মুসলিম তাই রমজান মাসে রাত ৩টার সময়ও তিনি শরীর চর্চা করে থাকেন। তাছাড়া তিনি যে খাবার খান তাও তাকে ফিট রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। তবে চমকপ্রদ খবর হলো খুব আহামরি কিছু খান না তিনি। একদম স্বাভাবিক খাবার।
সকালের নাস্তায় তিনি খান পরোটা ও এক গ্লাস দুধ। তবুও যদি পেটে ক্ষিদা আছে মনে হয় তখন এক বাটি ফল খেয়ে নেন। দুধের মধ্যে পরোটা ভিজিয়ে খান তিনি।
দুপুরের খাবারের বিষয়টি আসে তখন ক্যালরিযুক্ত খাবারকে বেশি প্রাধান্য দেন তিনি। দুপুরে তিনি সবজি, রুটি, মুরগী খেয়ে থাকেন। আর খাবার শেষ করেন, এক বাটি দই খেয়ে।
তার সবচেয়ে প্রিয় খাবার হলো মিশরের ঐতিহ্যবাহী খাবার কুশারি। যেটি চাউল ও ম্যাকারনির মিশ্রণে তৈরী করা হয়। এর উপর ছড়ানো থাকে টমেটো, পেঁয়াজ ও মুরগির ছোট ছোট টুকরা। সালাহ একবার এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন যখনই তিনি মিশরে যান তখন এয়ারপোর্টে থেকেই বন্ধুদের ফোন করে বলে দেন তার জন্য কুশারি কিনে নেয়ার জন্য। খাবারটি তার এতই প্রিয় যে গাড়িতে বসেই এটি খান তিনি।
রাতে তিনি খান হালকা খাবার। ডিনারে তার খাবারের তালিকায় থাকে স্যুপ, সালাদ আর সবজি। এগুলো খাওয়ার পর তিনি রাতের খাবার শেষ করেন এক গ্লাস টাটকা ফলের সরবত খেয়ে।
সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে সালাহ বলেছেন, তার শরীরে কোন ফ্যাট নেই ফলে ডাক্তাররা তাকে বলেছে তিনি চাইলে যে কোন কিছু খেতে পারবেন। তাছাড়া সিএনএনের সঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন তিনি মদ্যপান করেন না। এ কারণে তার শরীর অন্যদের চেয়ে আরো ভালো থাকে। তাছাড়া ব্যায়ামের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ছাড় দেন না তিনি।