নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যখন মাঠে নামলেন তখন পাকিস্তানে সংগ্রহ ১১২ রান। ওভার বাকি ছিল আর ৫টি। এরপর বাবর আজমকে ছাপিয়ে রীতিমতো ঝড় তুললেন শোয়েব মালিক। একের পর এক ছক্কায় পাকিস্তানকে এনে দিলেন বড় পুঁজি। এরপর বাকি কাজটা সারলেন বোলাররা। তাতে স্কটল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ শেষ করল পাকিস্তান। গতকাল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্কটল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান করে দলটি। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৭ রানের বেশি করতে পারেনি স্কটিশরা। আর তাতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
এদিন এক প্রান্তে ঝড় তুলে মাত্র ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন মালিক। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। আর সবমিলিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১২ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন ভারতের যুবরাজ সিং। মালিকের ঝড় তোলার দিনে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে সর্বো”চ রান এখন তার। অধিনায়ক বাবরের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এ কীর্তি গড়েন তিনি। মাঠে নামার আগে রেকর্ড থেকে ছিলেন ৫ রান দূরে। বার্ড হুইলের করা ওভারের পঞ্চম বলে স্কয়ার লেগে বল ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেলস নিয়ে ক্রিস গেইলকে পেছনে ফেলেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এর আগে ২০১৫ সালে ১৬৬৫ রান করেছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা গেইল। শেষ পর্যন্ত হামজা তাহিরের বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ১৫ রান। সবমিলিয়ে ২০২১ সালে ১৬৭৬ রান করেন রিজওয়ান। অথচ এ বছরের আগে ২০০৯ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ১২ বছরের ক্যারিয়ারে এ সংস্করণে তার রান ছিল ২০২৯।
এদিন পাকিস্তানের ইনিংসের ভিতটা অবশ্য গড়েন দেন অধিনায়ক বাবর। রিজওয়ানের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৩৫ রান করেন। মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে করেন ৫৩ রান। এরপর শোয়েব মালিকের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে লং অনে জর্জ মানসির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। এরপর আসিফ আলীর সঙ্গে অবি”িছন্ন ৪৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় পুঁজি এনে দেন মালিক। মালিকের ঝড়ে শেষ ছয় ওভারে ৯২ রান তোলে দলটি। অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ছন্দ ধরে রেখে দলের পক্ষে সর্বো”চ ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার চতুর্থ ও টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি পাকিস্তানি অধিনায়কের। ৪৭ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। ১৯ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ রান করেন হাফিজ।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকে বেশ সাবধানী ব্যাট করতে থাকেন দুই স্কটিশ ওপেনার মানসি ও অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার। তবে তাতে লাভ হয়নি। দলীয় ২৩ রানে কোয়েটজারকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন হাসান আলী। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। দলে ৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্কটিশরা। এরপর মাইকেল লিস্ককে নিয়ে দলের ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন রিচি বেরিংটন। ৪৬ রানের জুটি গড়ে চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। লিস্ক আউট হতে ক্রিস গ্রিয়েভসকে নিয়ে ২৭ রানের আরও একটি জুটি গড়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমান এ ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। ৩৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ১৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন শাদাব খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।