নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ হারল আফগানিস্তান। সেই সাঙ্গে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ভারতের। সহজ সমীকরণ ছিল, বিরাট কোহলির দলের বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের জয়ের বিকল্প ছিল না। কিন্তু এই ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে কুলিয়ে উঠতে পারলেন না রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা। বড় জয়ে এই গ্রুপ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সেমি-ফাইনালে যোগ দিল নিউজিল্যান্ড।
গতকাল আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচে এটা তাদের চতুর্থ জয়। এই জয়েই শেষ চার নিশ্চিত হলো কিউইদের।
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ভারতের। চার ম্যাচে দুটি জয় পেয়েছে ভারত। শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে হারাতে পারলেও তাদের জয় হবে তিনটি, যা যথেষ্ট নয়। এই ম্যাচ হেরে আফগানিস্তানও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল। এবারের বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচের দুটিতে জিতেছে তারা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ম্যাচসেরা ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনেদের দারুণ বোলিংয়ের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি আফগানিস্তান। নাজিবুল্লাহ জাদরানের একার লড়াইয়ে ৮ উইকেটে ১২৪ রান তোলে তারা। জবাবে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ের ব্যাটে ১৮.১ ওভারে ২ উইকেটে হারিয়েই জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না নিউজিল্যান্ডের। দলীয় ২৬ রানে ওপেনার ড্যারিল মিচেলকে হারায় তারা। ১৭ রান করে বিদায় নেন তিনি। শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন।
তাদের ৩১ রানের জুটি ভাঙে গাপটিলের বিদায়ে। ডানহাতি এই ওপেনার ২৮ রান করে থামেন। এরপর আর বিপদে পড়েনি ব্ল্যাক ক্যাপরা। উইলিয়ামসন-কনওয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। উলিয়ামসন ৪২ বলে ৩টি চারে ৪০ ও কনওয়ে ৩২ বলে ৪টি চারে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। আফগানিস্তানের দুই স্পিনার মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে দুঃস্বপ্নের মতো শুরু হয় আফগানদের। দলীয় ৮ রানেই ফিরে যান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। কিছুক্ষণ পর ট্রেন্ট বোল্টের শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন হজরতউল্লাহ জাজাই। টিকতে পারেননি রহমানউল্লাহ গুরবাজও। দলীয় ১৯ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আফগানিস্তান।
এমন সময়ে দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন গুলবাদিন নাঈব ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। এই জুটিতে ৫৬ রানে পৌঁছায় দলটি। এ সময় ১৫ রান করে বিদায় নেন গুলবাদিন। এরপর সবচেয়ে বড় জুটিটি পায় আফগানিস্তান। নাজিবুল্লাহর সঙ্গে যোগ দিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। তবে এ সময় নাজিবুল্লাহই মূলত রানেরচাকা সচল রাখেন।
আফগানদের হয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানই কেবল বড় ইনিংস খেলেন। ৪৮ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি। গুলবাদিনের ১৫ রানের পর নবী ১৪ রান করেন। আফগানদের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন। আরেক পেসার টিম সাউদি ২টি উইকেট পান। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পান অ্যাডাম মিলনে, জিমি নিশাম ও ইশ সোধি। ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছে বোল্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।