আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ-২ থেকে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এ গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে আগেই সেমিতে পৌছে গিয়েছিল পাকিন্তান। দ্বিতীয় দল হিসেবে গেল কিউইরা। দুই দলই চারটি করে ম্যাচে জয় পেয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড হারলে সেমিতে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল ভারতের। কিন্তু আফগানরা হেরে যাওয়ায় ভারতের সেমিতে যাওয়ার সব আশার সমাপ্তি ঘটেছে।
ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করেছে আফগানিস্তান। জবাবে ১৮.১ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়েই লক্ষে পৌছে যায় নিউজিল্যান্ড।
তবে এ রান করতে গিয়ে শুরুতে কিছুটা চাপে পরে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৭ রান করে ডারইয়াল মিচেল মুজিব জাদরানের বলে আউট হন। তখন দলের রান ২৬। এরপর দলীয় ৫৭ রানের সময় মার্টিন গাপটিল ২৮ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড আউট হন। এরপর ডেইন কনওয়ে ৩৬ ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
কিউই বোলারদের তোপে পরে আফগানিস্তান। ফলে ব্যাট খুলে খেলতে পারেনি তাদের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান। আলাদা ছিলেন শুধু নাজিবউল্লাহ জাদরান। তিনি একাই ৪৮ বল খেলে ৭৩ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন গুলবাদিন নাইব।
এর আগে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানদের। ম্যাচটিতে প্রথম দশ ওভার খেলেই হারিয়ে ফেলেছে চারটি উইকেট। আর রান তুলতে পেরেছে মাত্র ৫৬।
দলে হার্ড হিটার থাকলেও পাওয়ার প্লেতে ভালো করতে পারেনি আফগানরা। ম্যাচটিতে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৩ রান তুলতে সমর্থ হয়েছে তারা। এর মধ্যে হারিয়েছে তিনটি উইকেট। দুই ওপেনার হযরত উল্লাহ জাজাই ২ ও মোহাম্মদ শেহজাদ মাত্র ৪ রান করে ফিরেছেন। অপর হার্ড হিটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৬ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন। এরপর ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান নাজিবউল্লাহ জাদরান ও গুলবাদিন নাইব মিলে কিছুটা চড়াও হওয়ার চেস্টা করেন। এ ক্ষেত্রে ভালোই আগাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু দশতম ওভারের শেষ বলে গুরবাদিন নাইব ১৫ রান করে ইশ সোদির বলে বোল্ড আউট হন। ফলে বিপদ আরো বাড়ে আফগানদের। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে নাজিবউল্লাহ দলকে একশ রান পার করতে সহায়তা করেন। ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি।