আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডরে বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করেছে আফগানিস্তান। এই রানের জবাব ধীরে ধীরে দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দশ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তারা করেছে ৬১ রান । শেষ দশ ওভারে তাদের প্রয়োজন ৬৪ রান।
প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৭ রান করে ডারইয়াল মিচেল মুজিব জাদরানের বলে আউট হন। তখন দলের রান ২৬। এরপর দলীয় ৫৭ রানের সময় মার্টিন গাপটিল ২৮ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড আউট হন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ ম্যাচটিতে ১২৫ রান করলেই সেমিফাইনালে চলে যাবে নিউজিল্যান্ড। আর বাদ পরে যাবে ভারত ও আফগানিস্তান।
এদিকে কিউইদের বিপক্ষে ১৪৪ এবারের বিশ্বকাপে তাদের সর্বনিম্ন রান। এর আগে প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯০, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪৭, নামিবিয়ার বিপক্ষে ১৬০ ও ভারতের বিপক্ষে ১৪৪ রান করেছিল তারা।
কিউই বোলারদের তোপে পরে আফগানিস্তান। ফলে ব্যাট খুলে খেলতে পারেনি তাদের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান। আলাদা ছিলেন শুধু নাজিবউল্লাহ জাদরান। তিনি একাই ৪৮ বল খেলে ৭৩ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন গুলবাদিন নাইব।
এর আগে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানদের। ম্যাচটিতে প্রথম দশ ওভার খেলেই হারিয়ে ফেলেছে চারটি উইকেট। আর রান তুলতে পেরেছে মাত্র ৫৬।
দলে হার্ড হিটার থাকলেও পাওয়ার প্লেতে ভালো করতে পারেনি আফগানরা। ম্যাচটিতে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৩ রান তুলতে সমর্থ হয়েছে তারা। এর মধ্যে হারিয়েছে তিনটি উইকেট। দুই ওপেনার হযরত উল্লাহ জাজাই ২ ও মোহাম্মদ শেহজাদ মাত্র ৪ রান করে ফিরেছেন। অপর হার্ড হিটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৬ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন। এরপর ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান নাজিবউল্লাহ জাদরান ও গুলবাদিন নাইব মিলে কিছুটা চড়াও হওয়ার চেস্টা করেন। এ ক্ষেত্রে ভালোই আগাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু দশতম ওভারের শেষ বলে গুরবাদিন নাইব ১৫ রান করে ইশ সোদির বলে বোল্ড আউট হন। ফলে বিপদ আরো বাড়ে আফগানদের। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে নাজিবউল্লাহ দলকে একশ রান পার করতে সহায়তা করেন। ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি।