পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে নালিশ আর প্রকাশ্যে বিভিন্ন দূতাবাসের কাছে সাহায্য চাওয়া- বিএনপির মেরুদন্ডহীন রাজনীতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, বিএনপির কাছে দেশ নিরাপদ নয়, তাদের রাজনীতি দূরনিয়ন্ত্রিত। আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণ দ্বারা চালিত। দেশ পরিচালনায় নতজানু হওয়ার নজির আওয়ামী লীগের নেই, নতজানু হওয়ার নজির রয়েছে বিএনপির। ওবায়দুল কাদের আজ রোববার সকালে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
‘বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসডিজি অগ্রগতির জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতিসংঘে পুরস্কারপ্রাপ্তি এবং সারা দুনিয়ায় উন্নয়ন-অর্জনের জন্য যখন প্রশংসিত হচ্ছে, তখন বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বলা হাস্যকর।
‘দেশের সব মেগা প্রকল্প ঋণ নির্ভর’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির দিনরাত মিথ্যাচারের জবাব দিতে ইচ্ছে না হলেও দু'একটি কথা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের বলতে হয়, কারণ তারা না জানলেও দেশের মানুষ জানে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে সরকার।
তিনি বলেন, আসলে তারা পদ্মাসেতু নির্মাণ বন্ধের ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিল, তারা চায়নি এদেশে মেগা প্রকল্প হোক। আওয়ামী লীগের সাধালন সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাজনীতি উন্নয়ন বিমুখ এবং প্রতিহিংসামূখর, তারা উন্নয়ন চায় না, তারা চায় দেশ স্থবির হয়ে থাকুক। বিএনপি চায় সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক।
৭ নভেম্বর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বরের হত্যাযজ্ঞের ওপর ভর করে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন। তিনি বলেন, সৈনিকদের ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের রক্তের ওপর দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় প্রত্যাবর্তনের ভিত্তি রচনা করেন জিয়াউর রহমান। একই সঙ্গে এই রাতের দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িতদের পদায়ন করেন বিভিন্ন স্থানে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানিদের নিষ্ঠুরভাবে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার প্রক্রিয়াও রুদ্ধ করে দেয় জিয়া। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই জন্যই ৭ নভেম্বর রাজনৈতিক রং দিয়ে জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় জিয়াউর রহমানের নির্দেশ।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে বিএনপি- জামায়াত জোট নিয়মিত এই দিনটিকে উদযাপন করে আসছে, অথচ এটি বাঙালি জাতির ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় দিন, শোকের দিন, কান্নার দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।