নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্যাটিংয়ে নিজেদের কাজটা এগিয়ে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে টেম্বা বাভুমার দল। এই পুঁজি নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নামা প্রোটিয়াদের সামনে চ্যালেঞ্জটা ছিল আরও বড়। ইংল্যান্ডের ইনিংস ১৩১ রানের মধ্যে আটকে দিতে পারলে মিলবে সেমিফাইনালের টিকিট। হয়নি। কাগিসো রাবাদাকে ১৬তম ওভারে মারা লিয়াম লিভিংস্টোনের ছয়েই নিশ্চিত হয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের সঙ্গী হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াই।
পুরো ২০ ওভার খেলে ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত তুলেছে ৮ উইকেটে ১৭৯ রান। ইংল্যান্ডের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াও নিশ্চিত হয়েছে আগেই। অবশ্য এ ম্যাচে একটা ধাক্কাও খেয়েছে ইংল্যান্ড। চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ওপেনার জেসন রয়। অন্যদিকে এ ম্যাচে ১০ রানের জয় তুলে নেওয়ার পরও রান রেটে পিছিয়ে থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা।
গতকাল জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। কাগিসো রাবাদা শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে টানা তিন বলে হ্যাটট্রিক তুলে নেন! এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি তৃতীয় হ্যাটট্রিক। আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এর আগে হ্যাটট্রিক করেন। ক্রিস ওকস, এউইন মরগান ও ক্রিস জর্ডানকে তুলে নেন রাবাদা। তবে দলের বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় হ্যাটট্রিক করেও রাবাদাকে সেভাবে উদযাপন করতে দেখা যায়নি। কারন ইংল্যান্ডের পরের ধাপের টিকেট নিশ্চিত হয়ে যায় ৮৭ রানে পৌঁছেই। ১৬০ রান পেরিয়ে হয় গ্রুপ সেরা।
এরআগে ১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে দুই ইংলিশ ওপেনার। এরপর ব্যক্তিগত ২০ রানে হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে প্যাভিলিয়ানে ফেরত যান রয়। আরেকপ্রান্তে বাটলার খেলতে থাকেন মারমুখি হয়ে। দলীয় ৫৮ রানে ১৫ বলে ২৬ রানে বাটলার ফিরলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
এরপর দ্রুতই ফিরেন জনি বেয়ারস্টো! ৫৯ রানে ২ উইকেট হারায় ইংলিশরা। তৃতীয় উইকেটে মঈন ও ডেভিড মালান মিলে গড়েন অসাধারণ এক জুটি। দু’জনের ৩৬ বলের ৫১ রানের জুটি দলের মধ্যে জয়ের স্বপ্ন জাগায়। দলীয় ১১০ রানে ২৭ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে আউট হন মঈন।
এরপর লিভিংস্টোন ঝড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উঁড়িয়ে দিয়ে সেমি নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ২৬ বলে ৩৩ রানে মালান ফিরলেও দাপট দেখান লিভিংস্টোন। শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিলো ৩৫ রান। লিভিংস্টোন ফিরলেও মরগ্যান-ওকসের দাপটে শেষ ওভারে ইংলিশদের দরকার ছিলো ১৪ রানের!
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব ভালো শুরু করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। দলীয় ১৫ রানেই ফিরেন রিজা হেন্ড্রিক্স। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ডি ককের সাথে জুটি গড়েন ভ্যান ডার ডুসেন। দু’জনের ব্যাটে বেশ ভালোই এগোতে থাকে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৭১ রান। এরপর দলীয় ৮৬ রানে ব্যক্তিগত ২৭ বলে ৩৪ রানে ডি কক আউট হন। ডুসেনের সাথে জুটি বাঁধেন এইডেন মার্করাম। দুই প্রান্তে দু’জনেই খেলতে থাকেন দুর্দান্ত গতিতে।
বাকি পথটা পাড়ি দেন দু’জনে। দুই প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দু’জনেই দেখা পান ফিফটির। তবে ডুসেন ছুটছিলেন আরো দ্রুত! কিন্তু অল্পের জন্য ধরতে পারেননি সেঞ্চুরির মাইলফলক। ডুসেন ও মার্করামের জোড়া ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ৬ রানের জন্য ডুসেন দেখা পাননি সেঞ্চুরির। মার্করাম ২৫ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৫২ এবং ডুসেন ৬০ বলে ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ও মঈন আলি শিকার করেন একটি করে উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।