আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানর হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর মাধ্যমে চারটি ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আট পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে প্রায় জায়গা করে নিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই রান দুই উইকেট হারিয়ে করে ফেলে অজিরা।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিতে যেতে হলে প্রোটিয়াদের অনেক বড় ব্যবধানের জয় পেতে হবে। আর দক্ষিণ আফ্রিকা যদি হেরে যায় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই, অস্ট্রেলিয়ার টিকেট নিশ্চিত হবে তখনই।
এদিকে এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই রানের জবাবে প্রথম ১০ ওভারেই মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান করেছে অজিরা। পরবর্তীতে সব মিলিয়ে ১৬.২ ওভার খেলে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় তারা। ম্যাচটিতে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার মিচেল মার্শ। দলের জয় পেতে যখন ১ রান দরকার তখন মার্শ গেইলের বলে আউট হন। এর আগে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ৯ রান করে আউট হন। ওয়ার্নার শেষ পর্যন্ত ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ম্যাচটিতে প্রথম দশ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান করে ক্যারিবিয়ানরা। পরের ১০ ওভারে তারা করেছে ৮৩ রান। শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল ও পোলার্ডের ব্যাটিংয়ে ভালোই চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সমর্থ হয় তারা।
ম্যাচটিতে শুরুতে ভালো কিছু করার আশা দেখালেও দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। দলীয় ৩০ রানের সময় গেইল ১৫ রান করে কামিন্সের বলো বোল্ড আউট হন। এরপর জস হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ আউট হন নিকোলাস পুরান। তিনি মাত্র ৪ রান করতে সমর্থ হন। এরপরের বলেই রস্টন চেজ হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ক্রিজে আসেন শেমরন হেটমায়ার। অপর প্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকেন এভিন লুইস। এ কারণে পাওয়ার প্লে শেষে ৫০ রান তুলতে সমর্থ হয় ক্যারিবিয়ানরা। যদি উইকেটগুলো ধরে রাখতে সমর্থ হতো তারা তাহলে বিষয়টি ভিন্ন হত। কিন্তু ম্যাচের দশতম ওভারে লুইস ২৬ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে ক্যাচ আউট হন। তখন দলের রান ৭০।
এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ধরে খেলা শুরু করেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন তিনিই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে এভিন লুইসের ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন জস হ্যাজেলউড।